কথায় বলে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম কেউ বোঝে না, ঠিক তেমনই অনেকেই চোখ থাকতে চোখের মর্ম বোঝেন না। অনেককেই এখন ছোট বয়স থেকে চোখে চশমা দিতে হয়। আবার চোখে পাওয়ার আসলেও অনেকে দরতে পারেন না ছোট থেকে ঠিক করে পরীক্ষা না হওয়ার কারণে। অনেতেরই ছোট থেকে চোখ দুর্বল হতে শুরু করে। এর একটা কারণ খাওয়াদাওয়া আর আরও একটি কারণ হল দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ, মোবাইলে চোখ সেঁটে থাকা। সেই সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ টিভি দেখলে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সেখান থেকেও চোখের উপর চাপ পড়ে। যদি মায়োপিয়া, হাইপারোপিয়া, প্রেসবায়োপিয়ার মত সমস্যা থাকলে চোখ দুর্বল হয়ে যায়, দৃষ্টিশক্তির উপরেও প্রভাব পড়ে। আবার অনেক সময় ডায়াবেটিসের কারণেও দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। সেক্ষেত্রে ডায়েটে নজর দিলেই সমস্যার হাত থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়। আর তাই প্রথমেই যা করতে হবে তা হল খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনা। সেই সঙ্গে যা কিছু রোজ নিয়ম করে খাবেন-
গাজর- NCBI-তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে গাজরের মধ্যে ভিটামিন এ- অনকটা বেশি পরিমাণে থাকে। যা দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও গাজরের মধ্যে থাকে বিটা ক্যারোটিন। যা রোজ খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়বেই।
পালং শাক- এই শাকের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে। থাকে লুটেইন। যা চোখের জন্য ভাল সেই সঙ্গে শরীরের জন্যও ভীষণ রকম উপকারী। আর আয়রনেরও খুব ভাল উৎস হল এই পালং শাক।
আমের মধ্যে ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই দুই থাকে। এছাড়াও আমের মধ্যে থাকে লুটেইন-জিক্সানথিন, যা চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। খালি পেটে রোজ সকালে খান আমলার জুস। এর মধ্যে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকে। আমলার মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ছানি পড়তে দেয় না। রেটিনার জন্যও খুব ভাল আমলা।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আপেলের কোনও তুলনা নেই। আপেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- যা চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। ফ্ল্যাভিনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- যা চোখের উপর ফ্রি র্যাডিক্যালের প্রভাব কমায় এবং চোখের অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও রোজকার ডায়েটে ব্রকোলি, লেবু, বিভিন্ন ধরনের বীজ, আখরোট, মাখন, ডিম এসব রাখুন।