কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা খুবই সাধারণ। তবে যার এই সমস্যা হয় একমাত্র সেই বোঝে যে এর জ্বালা কতখানি। পেট সাফ না হলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা হয়। খিদে থাকে না, মেজাজ সপ্তমে চড়ে থাকে, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা লেগে থাকে, কোনও রকম খাবার খাওয়া যায় না। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না। ত্বক যেমন ব্রণতে ভরে যায় তেমনই বাথরুমেই কেটে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। এই কোষ্ঠকাঠিন্য দিনের পর দিন চলতে থাকলে সেখান থেকে ক্যানসারের মত অসুখ হতে পারে। এমনকী কোলন ক্যানসারের কারণই হল দীর্ঘদিন ধরে পেট পরিষ্কার না হওয়া। সেই সঙ্গে ফিসার, ফিসচুলার মত সমস্যাও হতে পারে। আর তাই পাইলসের মত সমস্যা প্রথমেই সারিয়ে ফেলা দরকার। সাধারণ খারাপ খাদ্যাভ্যাস, খাবার ঠিকমতো হজম না হলে, জল কম খেলে, তেল-মশলাদার খাবার বেশি খেলে, রেড মিড বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে।
এই সমস্যায় কিছু নিয়ম মানতেই হবে। এর মধ্যে প্রথমে যা করতে হবে তা হল খাবারে পরিবর্তন আনা। ফাইবার বেশি করে খেতে হবে। রোজের তালিকায় ফল, শাকসবজি, ডাল, খাদ্যশস্য রাখুন। ওটস বেশি করে খান। সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। দুপুরের খাবার খেয়ে একগ্লাস জলে একটা লেবু চিপে খান। এতে হজম হবে আর শরীরও ভাল থাকবে।
এছাড়াও পুষ্টিবিদরা বাড়িতে এই পানীয় বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মিক্সিং জারে কয়েক টুকরো শসা, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, একটুকরো আদা, সামান্য ঘি দিয়ে ভাল করে পেস্ট করে নিন। এবার তা ছেঁকে নিয়ে ওর মধ্যে লেবুর রস আর ব্ল্যাক সল্ট মিশিয়ে নিন। এবার তা খেয়ে নিন এক কাপ। এতে মল নরম হবে আর পেটও পরিষ্কার হবে। এছাড়াও সমস্যা না থাকলে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একগ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন।
নিয়মিত এই জুস খেলে শরীর থেকে যাবতীয় বর্জ্য বেরিয়ে আসবে আর ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করবে। পেট পরিষ্কার হবে, হজমের কোনও সমস্যা থাকবে না। সেই সঙ্গে ওজনও কমবে। সকালে খালিপেটে এই জুল টানা ৬-৭ সপ্তাহ খেলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়।