পুজো শুরু হতে এখনও হাতে প্রায় ২ মাস বাকি। কিন্তু পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা এখনই হয়ে গিয়েছে। ডেস্টিনেশন বাছাই থেকে টিকিট বুকিং—সবই সেরে নিয়েছেন সময় থাকতে। পুজোর সময় অনেকেই ট্রেকিংয়েও যাবেন নিশ্চয়ই। ভারতের বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ে পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ট্রেকিং ছাড়া সম্ভব নয়। পুজোর মরশুমে অনেকেই কেদারনাথ, চাদর ট্রেক, হর কি দুন, বিয়াস কুন্ড, ক্ষীরগঙ্গা, সান্দাকফু ট্রেক করেন। আপনি যদি প্রথমবার ট্রেক করতে চান, তাহলেও এসব জায়গায় যেতে পারেন। কিন্তু যে পাহাড়ি জায়গাতেই যান না কেন, প্রথমবার ট্রেকে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রেখে চলতে হবে।
শারীরিকভাবে ফিট থাকুন
ট্রেক করতে গেলে ফিটনেস থাকা জরুরি। ট্রেকিং যাওয়ার আগে থেকেই শরীরচর্চা শুরু করে দিন। নিয়মিত কার্ডিয়ো, স্ট্রেংথ ট্রেনিং করুন। ট্রেক করলে প্রতিদিন প্রায় ১০০-এর বেশি ক্যালোরির পোড়ে। ট্রেকিংয়ে গিয়ে হাঁটতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই আগে থেকে প্রস্তুত থাকা জরুরি।
মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন
ট্রেক করতে হলে শারীরিকের পাশাপাশি মানসিকভাবেও আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। পাহাড়ি, দুর্গম এলাকায় ট্রেক করলে যখন-তখন আবহাওয়া পরিবর্তন হতে পারে, যে কোনও ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন। তার সঙ্গে বদলাতে থাকে উচ্চতাও। এই অবস্থায় কাজে আসে মনের জোর। ভয় না পেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
শীতবস্ত্র সঙ্গে রাখুন
অক্টোবরে পুজো। তখন হিমালয়ের পাদদেশে থাকা রাজ্যগুলোতে পারদ নামতে থাকবে। ঠান্ডা জাঁকিয়ে না পড়লেও উচ্চতা বেশি হলে হাড় কাঁপিয়ে দিতে পারে। তাই সঙ্গে সোয়েটার, জ্যাকেট, উইন্ডচিটার, মোজা, গ্লভস, টুপি রাখুন। তবে, ট্রেকে গেলে খুব বেশি জামাকাপড় নেবেন না। পিঠে ভারী ব্যাগ নিয়ে পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটা কষ্টকর হতে পারে। সঙ্গে রেইনকোট ও ওয়াটার প্রুফ জুতো রাখুন। বৃষ্টি, তুষারপাতের মতো পরিস্থিতিতে কাজে আসবে।
ট্রেকিং-এর প্রয়োজনীয় জিনিস