পুজো শুরু হতে মাত্র মাস দুয়েক বাকি। উত্তরবঙ্গের টিকিট কাটা হয়ে গেলেও এখন ডেস্টিনেশন ঠিক হয়নি? দার্জিলিং, কালিম্পং বা কার্শিয়াং নয়, এবার পুজোয় ডুয়ার্স বেড়াতে যান। যাঁদের পুজোর ট্রিপ মাত্র ৫ দিনের, তাঁরা অনায়সে ঘুরে নিতে পারেন ডুয়ার্স। ডুয়ার্সের রয়েছে এমন অনেক জায়গা, যা অনেকেরই অজানা। এমনই ৫টি পর্যটন কেন্দ্রের খোঁজ এনেছে TV9 বাংলা।
রঙ্গো: ছবির মতো সাজানো গ্রাম এই রঙ্গো। পাশেই রয়েছে ভুটান পাহাড়। পাহাড়ি পথে ঘুরে রঙ্গোকে চিনে নিতে পারেন। গ্রামের মধ্যেই রয়েছে মনাস্ট্রি। যেতে পারেন কাছের জলপ্রপাতেও। নিউ মল জংশন থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই রঙ্গো। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ৯৬ কিলোমিটারের রাস্তা রঙ্গো। তবে, যে কোনও রেল স্টেশন থেকে আপনি রঙ্গো যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন।
লেপচাখা: বক্সা ফোর্টের সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র এই লেপচাখা। বক্সা পাহাড়ের একদম উপরে অবস্থিত লেপচাখা থেকে ডুয়ার্সের সৌন্দর্য আরও মোহময়ী দেখায়। আলিপুরদুয়ার থেকে লেপচাখা ৩০ কিলোমিটারের পথ। তবে, অ্যাডভেঞ্চারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে সান্তলাবাড়ি থেকে বক্সা ফোর্ট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা ট্রেক করতে পারেন। এছাড়া ঘুরে দেখতে পারেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প।
চিলাপাতা: সেপ্টম্বর পর্যন্ত দেশের জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য বন্ধ থাকলেও, পুজোর সময় আপনি জঙ্গল সাফারিতে যেতে পারেন। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ও জলদাপাড়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মাঝে অবস্থিত চিলাপাতা। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তোর্সা ও বানিয়া নদী। এক শৃঙ্গ গন্ডার, হাতি দেখতে হলে চিলাপাতা আপনাকে করতেই হবে। আলিপুরদুয়ার থেকে চিলাপাতা মাত্র ২৬ কিলোমিটারের রাস্তা। তবে চেষ্টা করবেন চিলাপাতা গেলেই জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত কোনও ক্যাম্পিং বা কটেজে রাত কাটানোর।
প্যারেন: ডুয়ার্সের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ঝালং যাওয়ার পথে রয়েছে প্যারেন। প্যারেন ভারত-ভুটান সীমান্তের শেষ জনপদ। খুব বেশি পর্যটকদের ভিড় এখানে নেই। থাকার জায়গাও সীমিত। পশ্চিমবঙ্গ বন দফতরের কটেজ একটা কটেজ রয়েছে শুধু। সবুজ ঘন জঙ্গল, জলঢাকার বহমান শব্দ আর ঝিঁ ঝিঁর ডাক ছাড়া প্যারেনে আর কিছু নেই। কিন্তু যাঁরা নির্জনতাকে উপভোগ করতে চান, তাঁরা বেছে নিতে পারেন প্যারেনকে। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটারের পথ প্যারেন। যদিও ঝালং যান, সেখান থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটারের রাস্তা।
রায়মাটাং: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোলে অবস্থিত অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র এই রায়মাটাং। সবুজের মাঝে পুজোর ছুটি কাটাতে হলে যেতে পারেন রায়মাটাংয়ে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের মধ্যে অবস্থিত আপনি জঙ্গল সাফারিতেও যেতে পারেন। শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ৭৪ কিলোমিটারের পথ রায়মাটাং। এই রায়মাটাং থেকে লেপচাখা ট্রেকও করা যায়।