ডেস্টিনেশন বাছাইয়ের চেয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বাজেট ঠিক করা। বেড়াতে গিয়ে পকেটে টান যাতে না পড়ুক, তাই বাজেট নির্ধারণ করা দরকার। এই বাজেটের মধ্যে থাকে ট্রেন-ফ্লাইটের টিকিটের খরচ, হোটেল ভাড়া, গাড়ি ভাড়া, খাওয়া-দাওয়ার খরচ ইত্যাদি। এক্ষেত্রে কম খরচে ভাল হোটেল খুঁজে বের করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের। কম খরচে ভাল হোটেল ও পরিষেবা সবসময় পাওয়া যায় না। তবে, সহজ কিছু টোটকা মেনে চললে, আপনি হোটেল বুকিংয়ের খরচ অনেকটা কমে যেতে পারে।
অফ-সিজ়নে বেড়াতে যান- দুর্গা পুজো ও দীপাবলির সময়, ক্রিসমাসের মরশুমে অফিস, স্কুল-কলেজ ছুটি থাকে। এসময় কমবেশি সকলেই বেড়াতে যায়। তাই হোটেল ও গাড়ির ভাড়াও বেড়ে যায়। এমনকী ভাল হোটেলে রুম পাওয়াও কঠিন হয়ে যায়। তাই অফ-সিজ়নে বেড়াতে যান। যে সময় বেড়াতে যাওয়ার হিড়িক কম থাকবে, তখনই আপনি ঘুরে নিন আপনার মনপসন্দ ডেস্টিনেশন।
উইকএন্ড এড়িয়ে চলুন- সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় শনি-রবি হোটেলের ভাড়া বেশি থাকে। শহরের কাছেপিঠে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ মানুষ সপ্তাহান্তকেই বেছে নেন। তাই দামও বেশি থাকে। কিন্তু সপ্তাহের মাঝে গেলে আপনি কম খরচে ভাল হোটেল পেয়ে যাবেন।
বিশেষ ছাড় থাকলে হোটেল বুক করুন- কম খরচে ভাল হোটেল খুঁজতে হলে অনলাইনই ভরসা। এখন বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্ন ট্রাভেল অ্যাপ বা অনলাইন সাইট থেকে হোটেল বুক করেন। এই সব অ্যাপ ও সাইটে বছরের বিভিন্ন সময় বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে ছাড় দেয়। সে সব দিনে যদি আপনি হোটেল, ফ্লাইটের টিকিট ইত্যাদি বুক করেন তাহলে তুলনামূলকভাবে দামটা একটু কম হয়।
নতুন হোটেল বেছে নিন- আপনি যে ডেস্টিনেশনে যাচ্ছেন, সেখানে দর্শনীয় স্থান কী-কী আছে, সেটা নিশ্চয়ই সার্চ করেছেন। পাশাপাশি নতুন কোন-কোন হোটেল তৈরি হয়েছে সেটাও সার্চ করে নিন। নতুন হোটেলে ভাড়া কম হতে পারে। তাছাড়া নতুন হোটেল নিজেদের ব্যবসা ও স্বনাম বৃদ্ধির জন্য ভাল পরিষেবা প্রদান করে।
আগে থেকে বুকিং সারুন- শেষ মুহূর্তে হোটেল বুক করলে ভাড়া বেশি পড়বেই। ডেস্টিনেশন ঠিক করার পাশাপাশি যদি হোটেল বুকিংও সেরে ফেলেন, তাহলে খরছ কমতে পারে। এতে আরও এক সুবিধা মেলে। আপনার যদি কোনও কারণ ট্রিপ বাতিল হয়ে যায়, তাহলে সহজেই আপনি হোটেল বুকিংও বাতিল করতে পারেন। মাস দেড়েক আগে হলেও আপনি তখন হোটেল বুকিংয়ের টাকা রিফান্ড পেয়ে যাবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বুকিং বাতিল করলে এক টাকাও ফেরত পাবেন না।