কলকাতা: পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে ৯০ শতাংশ মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) রয়েছে যারা লং টার্মে তার ইনডেক্স রিটার্ন বা তার রিটার্নকে বিট করতে পারে না। যেটা তার একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে। যার জন্য আমরা বিনিয়োগ করে থাকে। মাত্র ১০ শতাংশ মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে যারা তার ইনডেক্স রিটার্নকে বিট করতে পারে। সুতরাং বিনিয়োগ করার আগে ভাল মিউচুয়াল ফান্ড ও খারাপ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে পার্থক্যটা বোঝা খুব জরুরি।
নজর থাকুক ডাইরেক্ট প্ল্যানে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন মিউচুয়াল ফান্ড বাছার সময় সবার আগে রেগুলার প্ল্যানের আগে ডাইরেক্ট প্ল্যান বাছা খুব দরকার। রেগুলার প্ল্যানে এক্সপেন্স রেসিও বেশি দিতে হয়। অর্থাৎ বেশি টাকা দিতে হয় ফান্ড ম্যানেজারকে। তাঁর কমিশনের পরিমাণটা অনেকটাই বেশি হয়। অনেকেই আবার ব্যাঙ্ক গিয়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ শুরু করেন। তাই সেখানে গেলেও কোনও প্ল্যান আপনাকে দেওয়া হলে আগে সেটা ডাইরেক্ট নাকি রেগুলার প্ল্যান সেটা আগে জেনে নেওয়া দরকার। ডাইরেক্ট প্ল্যানের ক্ষেত্রে এক্সপেন্স রেসিও রেগুলারের থেকে ১ শতাংশেরও বেশি কম দিতে হয়।
ফান্ড ম্যানেজারের প্রোফাইল দেখুন
স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ আপনি নিজে ম্যানেজ করেন। কিন্তু, মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে আপনি টাকাটা অন্য কাউকে দিচ্ছেন ম্যানেজ করার জন্য়। কীভাবে সে ফান্ডটা ম্যানেজ করবে, কোন কোন ফান্ড থাকবে, কখন কোন স্টকে এন্ট্রি নেবে, কোন স্টক থেকে এক্সিট করবে, এটা তার উপর নির্ভর করছে। আপনার কাজ শুধু সেই টাকাটা ওনাকে ম্যানেজ করতে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অভিজ্ঞতা সাধারণত সেই ফান্ড ম্যানেজারের অনেকটাই বেশি হয়। তাই কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আগে ফান্ড ম্যানেজারের প্রোফাইল ভাল করে দেখে নেওয়া খুব দরকার। অন্য যে সমস্ত ফান্ড সে ম্যানেজ করেছে সেগুলির অতীত রেকর্ড কেমন, তাঁর সামগ্রিক অভিজ্ঞতা কেমন সবটাই দেখে নেওয়া দরকার। খারাপ সময়ে সে কীভাবে হাল ধরেছে ফান্ডের সেটাও দেখা দরকার।
রোলিং রিটার্ন
কোনও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে বিনিয়োগ করার সময় অনেক সময়ই আমরা কোনও মিউচুয়াল ফান্ডের অতীতের হিসাবনিকেশ দেখে থাকি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কোন ফান্ড সবথেকে ভাল রিটার্ন দিচ্ছে সেদিকে সবথেকে বেশি নজর থাকে। রিটার্ন দেখেই আমরা বিনিয়োগের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ি। কিন্তু, এ ক্ষেত্রেও আপনাকে সাবধান হতে হবে। নজর রাখতে হবে রোলিং রিটার্নের উপর। ১ বা ২ বছরে নয়। গত ১০ বছরে ফান্ডটির রোলিং রিটার্ন কেমন সেই দিকটা ভাল করে খুঁটিয়ে পড়াশোনা করে নিতে হবে।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।