ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। প্রস্তুতি জোরদার হওয়া প্রয়োজন। কথায় আছে, প্রস্তুতিই অর্ধেক সাফল্য। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তাই নানারকম প্রস্তুতিই প্রয়োজন। সামনেই এশিয়া কাপ। ম্যাচ প্র্যাক্টিস পাবেন ক্রিকেটাররা। আয়ার্ল্যান্ড সিরিজে অনেকেই কিছুটা প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছেন। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজও রয়েছে। বিশ্বকাপ জেতার জন্য সঠিক প্রস্তুতি প্রয়োজন। তবে বিশেষ নজর ফিটনেসে। ইংল্যান্ডে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের মাঝপথে একাধিক চোট আঘাতে প্রবল সমস্যায় পড়েছিল টিম ইন্ডিয়া। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও এই সমস্যা হয়েছে। ম্যাচে চোট পেলে তা আটকানোর সুযোগ নেই। কিন্তু ফিটনেসের দিক থেকে যাতে কেউ পিছিয়ে না থাকে সেদিকেই বাড়তি নজর বোর্ডের। এর জন্যই বিশেষ উদ্যোগ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের স্কোয়াড বেছে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও স্ট্যান্ড বাই প্লেয়ার হিসেবে রয়েছেন কিপার-ব্যাটার সঞ্জু স্যামসন। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পাবেন ১৫জন। এশিয়া কাপে মূল স্কোয়াডের ১৭ এবং স্ট্যান্ড বাই সঞ্জু স্যামসনকে ধরলে, এই ১৮ জনের মধ্যে কোনও তিনজন বাদ পড়বেন। দল থেকে বাদ পড়তে কেউই চাইবেন না। বিশ্বকাপে দলে জায়গা পেতে হলে সবদিক থেকেই যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। বিশ্বকাপের সম্ভাব্য এই ১৮ জনের ফিটনেসে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে বেঙ্গালুরুর আলুরে একটি বিশেষ শিবির হবে। সব প্লেয়াররাই সেখানে থাকবেন। প্রত্যেকের ফিটনেস পরীক্ষা হবে। সেই অনুযায়ী ট্রেনিং। বিষয়টি নতুন না হলেও ফুল টিমকে একসঙ্গে শিবিরে পাওয়া অনেক ক্ষেত্রেই হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘বলা যেতে পারে নিয়মমাফিক ফিটনেস পরীক্ষা। কয়েকজন প্লেয়ার সদ্য আয়ার্ল্যান্ড সিরিজে খেলেছে। ওদের রক্ত পরীক্ষাও হবে।’ শুধু তাই নয়, লিপিড প্রোফাইল, ব্লাড সুগার, ইউরিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন B12 এবং ভিটামিন D, ক্রিয়েটিন, টেস্টোটেরন পরীক্ষাও হবে। বোর্ড কর্তা আরও যোগ করেন, ‘বিষয়টা হয়তো নতুন নয়। সিরিজের মাঝে এগুলো হয়েই থাকে। প্রত্যেকের জন্য আলাদা ফিটনেস ট্রেনিং, অনুশীলনের ভিন্ন মডিউল দেওয়া হয়। প্লেয়াররা যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় সেদিকটাও নজর রাখতে হবে। সকলেই জানে, ৮-৯ ঘণ্টা ভালো ঘুম হওয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে অনেক সময়ই চোটের সম্ভাবনাও কমে।’