Manoj Tiwary : অবসর নিয়ে ইউ-টার্ন, বাইশ গজকে বিদায় জানিয়েও ফিরেছেন যাঁরা
TV9 Bangla Digital | Edited By: তিথিমালা মাজী
Aug 09, 2023 | 2:39 PM
অবসর ঘোষণার পর সিদ্ধান্ত বদল। আর ফিরব না বলেও বাইশ গজে ফিরে আসা। এমন ঘটনা তো ক্রিকেট বিশ্বে নতুন নয়। কেউ ফিরেছেন নিজের ইচ্ছেয়, কেউ অনুরোধে, কেউ দলের স্বার্থে।
1 / 11
বাংলা তথা জাতীয় দলের ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারির অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এর টাটকা উদাহরণ। ইনস্টাগ্রামে লম্বা চওড়া পোস্ট করে ক্রিকেটকে গুডবাই জানিয়েছিলেন মনোজ। রঞ্জি জয়ের অধরা স্বপ্ন বুকে রেখে বিদায় বার্তা দেন। পাঁচদিনের মধ্যেই মত বদলে ফেলেছেন মনোজ। বাংলা ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের অনুরোধ ফেলতে পারেননি। নিজের সিদ্ধান্তকে 'হঠকারী' বলেছেন। আরও একটা মরসুম খেলে রাজার মতো বিদায় নিতে চান তিনি। (ছবি:টুইটার)
2 / 11
ভারতীয় ক্রিকেটের বাইরে সাম্প্রতিক অবসর প্রত্যাহারের উদাহরণ হলেন বাংলাদেশেরর তামিম ইকবাল। ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে চোখের জলে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন। ওডিআই বিশ্বকাপের আগে তামিমের এই সিদ্ধান্ত নড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে। শেষমেশ তাঁর মান ভাঙাতে আসরে নামেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ ফেলতে পারেননি তামিম। যদিও বিশ্বকাপে তিনি নেতৃত্ব দেবেন না। (ছবি:টুইটার)
3 / 11
পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন ইমরান খান। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেট খেলে ১৯৮৭ সালে অবসর ঘোষণা করেন। বিশ্বকাপের ব্যর্থতার জেরে অবসর নেন তিনি। ইমরানের ক্ষেত্রেও দেশের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পড়েছিল। তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী জিয়া উল হকের অনুরোধে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের আগে অবসর ভেঙে ফেরেন ইমরান। সেই সিদ্ধান্তে ইমরান বনে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের নায়ক। ৩৯ বছর বয়সে পাকিস্তানকে ওডিআই বিশ্বকাপ জেতান তিনি। (ছবি:টুইটার)
4 / 11
মজার ছলে রিটায়ারমেন্টের রাজা বলা হয় শাহিদ আফ্রিদিকে। প্রথম বার ২০০৬ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন আফ্রিদি। দু-সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। ২০১১ সালে ওডিআই থেকে রিটায়ারমেন্ট ঘোষণা করেন। এরপর ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান। ২০১৫ সালে ফের পাকিস্তানের হয়ে খেলা শুরু করেন। জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ২০১৭ সালে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন আফ্রিদি। (ছবি:টুইটার)
5 / 11
মঈন আলির অবসর প্রত্যাহারের ঘটনাও সাম্প্রতিক। ২০২১ সালে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার। তবে ২০২৩ অ্যাসেজ সিরিজের আগে জ্যাক লিচ চোট পাওয়ায় মঈনকে মেসেজ করেন বেন স্টোকস। অ্যাসেজে চার ম্যাচ খেলে ফের অবসরে চলে গিয়েছেন মঈন। যাওয়ার আগে জানিয়ে দিয়েছেন, এ বার শত অনুরোধ করলেও ফিরবেন না তিনি। (ছবি:টুইটার)
6 / 11
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার কার্ল হুপার। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের তিন সপ্তাহ আগে হঠাৎ অবসর ঘোষণা করেন হুপার। ২০০১ সালে অবসর ভেঙে ফেরেন তিনি। ২০০৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্যাপ্টেন ছিলেন কার্ল হুপার। টুর্নামেন্টে দলের ব্যর্থতার পর আর খেলেননি তিনি। (ছবি:টুইটার)
7 / 11
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ডোয়েন ব্র্যাভোও অবসর ভেঙে ফিরেছিলেন। ২০১৮ সালে অবসর নেওয়ার পর তাঁর মনে হয়েছিল ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে খেলতে চান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২০২০ সালে ফের ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলা শুরু করেন। ২০২১ সালের টি ২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছিলেন ব্র্যাভো। (ছবি:টুইটার)
8 / 11
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার ভানুকা রাজাপক্ষে ২০২২ সালে পারিবারিক কারণে অবসর নেন। যদিও তাঁর সিদ্ধান্ত বদলাতে অনুরোধ করেন সেদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী। তাঁরই অনুরোধে রিটায়ারমেন্ট তুলে রেখে ক্রিকেটে ফেরেন ভানুকা। (ছবি:টুইটার)
9 / 11
২০১২ সালের টি ২০ বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ অবসর নেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন। ঘোষণার পরও ইংল্যান্ডের হয়ে ওডিআই ও টি ২০ ম্যাচ খেলেন। তবে ইসিবির সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে বেশিদিন খেলা চালিয়ে যাননি। (ছবি:টুইটার)
10 / 11
ইমরান খান, শাহিদ আফ্রিদি ছাড়াও পাক ক্রিকেটে অবসর ভেঙে ফিরেছিলেন জাভেদ মিঁয়াদাদ। ১৯৯৪ সালে তাঁর অবসর ঘোষণার পর পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর অনুরোধে পরে সিদ্ধান্ত বদলান তিনি। ১৯৯৬ সালে ফিরেছিলেন মিঁয়াদাদ। (ছবি:টুইটার)
11 / 11
ভারতীয় ক্রিকেটেও এমন উদাহরণ রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের পর ২০০২ সালে জাভাগল শ্রীনাথ অবসর নেন। একবছর পরই ওডিআই বিশ্বকাপ। অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তো শ্রীনাথকে ছাড়বেন না। তাঁর অনুরোধে ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের বোলিং ব্রিগেডকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাভাগল শ্রীনাথ। খেলেছিলেন টেস্ট ম্যাচেও। (ছবি:টুইটার)