জসপ্রীত বুমরা কবে ফিরবেন। কিছুদিন আগেও বড় আশঙ্কা ছিল এটাই। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাওয়া যায়নি জসপ্রীত বুমরাকে। হয়তো বুমরা থাকলে কিছুটা পার্থক্য গড়ে উঠত। গুরুতর চোট এবং অস্ত্রোপচারের পর বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব চলছিল। প্রস্তুতির কিছু ছবিও শেয়ার করেছিলেন। তাতেও আশঙ্কা কাটছিল না। সামনে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠে ট্রফি জিততে মরিয়া ভারত। বুমরাকে ছাড়া বোলিং আক্রমণ দূর্বল হয়ে পড়বে। আয়ার্ল্যান্ড সফরের জন্য দল ঘোষণার পর আংশিক স্বস্তি ফিরেছিল। তাঁকে নেতা করে একঝাঁক তরুণকে পাঠানো হয় আয়ার্ল্যান্ড সিরিজে। প্রথম ম্যাচেই অনবদ্য বোলিং করেন বুমরা। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতেছেন। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক সিরিজও জিতলেন। সঙ্গে সিরিজ সেরার পুরস্কার। সিরিজ শেষে অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরা যা বললেন। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রথম দু-ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল ভারত। তৃতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। সিরিজ জিতে বুমরা বলছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। বৃষ্টিতে এই ম্যাচটা হল না। এই অপেক্ষা করাটা খুবই হতাশাজনক। সকালের দিকেও আবহাওয়া ভালো ছিল। ভাবিনি ম্যাচটা হবেই না। তবে সিরিজ জেতা এবং এই তরুণ দলকে নেতৃত্ব দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। দলের প্রত্যেকেই খেলার জন্য উৎসুক। মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। এরকম একটা দলকে নেতৃত্ব দেওয়া গর্বের। যে কেউ এই কাজটা পছন্দ করবে।’
নেতৃত্বের চাপ যে তার মধ্যে কোনও প্রভাব ফেলেনি, পারফরম্যান্সেই পরিষ্কার। বরং, এই দায়িত্ব যেন বাড়তি তাগিদ জুগিয়েছিল। বুমরা আরও যোগ করেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে প্রত্যেকেই দায়িত্ব নিতে চায়। কোনও বিষয়েই আমার সমস্যা নেই। ফিটনেসের দিক থেকেও ভালো জায়গায় রয়েছি। আর নেতৃত্বের দিক থেকে বলব, দলে এরকম আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেটার থাকলে অধিনায়কের কাজ সহজ হয়ে যায়। অনেক সময় ওরাও আমাকে পরামর্শ দিয়েছে, কী করা উচিত।’