রিজার্ভ ডে-তেও পিছু ছাড়ল না বৃষ্টি। যদিও শুরুয়াত দেখে মনে হয়নি। সুপার সান-ডে অপেক্ষাতেই কেটেছে। অবশেষে ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডে-তে। সমর্থকরা প্রত্যাশা নিয়ে ফের মাঠে আসেন। আগের রাত অনেকেরই কেটেছে রেলস্টেশনে। বৃষ্টি ভিজে ফিরেছিলেন। পরদিন ফের একইরকম উত্তেজনা নিয়ে মাঠমুখো হলেন। ম্যাচ শুরু হল নির্ধারিত সময়েই। কার্যত ‘অন্তহীন’ ফাইনাল। এক দিক থেকে বলাই যায়, তিন দিন ধরে আইপিএল ফাইনাল চলল। শুরু হয়েছিল ২৮ মে। সম্পূর্ণ হল ৩০ মে! টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রথমে ব্যাট করে সাইয়ের সুদর্শন ইনিংসে চেন্নাইকে ২১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় গুজরাট টাইটান্স। যদিও বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয়। ১৫ ওভারে চেন্নাইয়ের লক্ষ্যে দাঁড়ায় ১৭১ রান। ডিএলএসে রান তাড়া, ৫ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়। পঞ্চম বার আইপিএল ট্রফি চেন্নাইয়ে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চেন্নাই সুপার কিংস বনাম গুজরাট টাইটান্স ফাইনাল ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla Sports-এ।
ফাইনালের রিজার্ভ ডে-তেও বৃষ্টি তাড়া করবে অনুমান ছিল। কিন্তু এত বেশি ভোগাবে, তা প্রত্যাশা ছিল না। ইনিংস বিরতিতে বৃষ্টি নামে। যদিও তা খুব বেশি সমস্যায় ফেলেনি। তবে চেন্নাই ইনিংসের মাত্র তৃতীয় বলেই ফের বৃষ্টি। এ বার জোরালো। ১০.৪৫ নাগাদ মাঠ পরিদর্শন করেন আম্পায়াররা। ম্যাচ পিচের পাশের পিচে জল থাকায় তাতে বালি এবং কাঠের গুড়ো দিয়ে পিচ রোল করে শুকোতে দেওয়া হয়। রাত ১১.৩০ নাগাদ ফের পরিদর্শন হয়। অবশেষে সিদ্ধান্ত হয় চেন্নাই ইনিংস ১৫ ওভারের হবে। নতুন লক্ষ্য ১৭১ রান। আইপিএলে ইতিহাসে ফাইনালে কখনও ২০০-র বেশি রান তাড়া হয়নি। ম্যাচ সংক্ষিপ্ত হলে রান তাড়া করা দল অ্যাডভান্টেজ। চেন্নাই যখন ফের ব্যাটিংয়ে নামে বাকি ৮৭ বলে ১৬৭ রান প্রয়োজন ছিল। ৪ ওভারের পাওয়ার প্লে-তেই বিনা উইকেট ৫২ রান।
ওভার প্রতি প্রায় ১২ রান প্রয়োজন ছিল। সেই লক্ষ্যে সফল হলেন দুই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ডেভন কনওয়ে। পাওয়ার প্লে-র পর একই ওভারে দুই ওপেনারকে ফেরান নুর আহমেদ। দলকে দুর্দান্ত স্টার্ট দিয়েছে এই জুটি। শেষ তিন ওভারে সিএসকের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৮ রান। ক্রিজে তখন শিবম দুবে-রায়াডু জুটি। রবিবারই রায়াডু ঘোষণা করেছিলেন, ফাইনালের পর আইপিএলকেও বিদায় জানাবেন। কেরিয়ারের শেষ ইনিংসে অনবদ্য। ৮ বলে ১৯ রান করেন। ১৩ তম ওভারে নাটকীয় বদল। ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন মোহিত শর্মা। মহেন্দ্র সিং ধোনি গোল্ডেন ডাক।
শেষ দু ওভারে সিএসকের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২ রান। এবং শেষ ওভারে ১৩ রান। বোলিংয়ে মোহিত শর্মা। পঞ্চম বলে জাডেজা ছয় মারায় শেষ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪ রান। লেগ স্টাম্পের বল ফাইন লেগে বাউন্ডারি মেরে জেতালেন স্যার জাডেজা। এলএসজির বিরুদ্ধে ১২ রান ডিফেন্ড করেছিলেন মোহিত শর্মা। প্রথম চার বল তারই ছিল। কিন্তু শেষ দু-বলে ছয় এবং চার মেরে চেন্নাইকে পঞ্চম ট্রফি জেতালেন স্যার রবীন্দ্র জাডেজা। গুজরাটের ক্রিকেটারের কাছে হারল গুজরাটের টিম।