হারলে বিদায় নিশ্চিত ছিল। জিতলে ক্ষীণ আশা থাকত। তার জন্য অন্যান্য ম্যাচের দিকেও নজর রাখতে হত। মহমেডানের কাজ আরও কঠিন করে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। দিনের প্রথম ম্যাচে তারা জিততেই লড়াইটা মূলত হয়ে দাঁড়ায় মহমেডান বনাম মোহনবাগান। সেটা যদিও পয়েন্ট টেবলে। মোহনবাগান প্রথম দু-ম্যাচ জিতেছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশ আর্মি ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে ৫-০ বড় ব্যবধানে জয়। পরের ম্যাচে পঞ্জাব এফসিকে ২-০ ব্যবধানে হারায় মোহনবাগান। বড় ম্যাচে হারলেও ব্যবধান ছিল মাত্র ১ গোলের। ফলে মোহনবাগানের গোল পার্থক্য ছিল ৬। মহমেডান গত ম্যাচে ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে রেফারির ভুলে শেষ মুহূর্তে গোল খায়। সেটাই যেন পার্থক্য গড়ে দিল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে নেমেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। জয়ের পাশাপাশি নজর ছিল গোল পার্থক্যের দিকেও। প্রথম থেকেই সেই লক্ষ্যে ঝাঁপায় মহমেডান স্পোর্টিং। গ্রুপে প্রথম ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে না হারলে এমন পরিস্থিতি হত না। অতীত বদলানোর সুযোগ ছিল না। তবে বর্তমানকে সুন্দর করার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি করেনি মহমেডান স্পোর্টিং। সঙ্ঘবদ্ধ মরিয়া লড়াই মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু প্রশিক্ষণাধীন মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। শেষ অবধি জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ৬-০ বিশাল ব্যবধানে জয় মহমেডানের। সব মিলিয়ে তাদের গোল পার্থক্য দাঁড়ায় ৫। এই ম্যাচে অন্তত ৭ গোলে জিতলে নকআউটে যেতে পারত মহমেডান।
ম্যাচের মাত্র ১০ মিনিটে রেমসাঙ্গার গোলে এগিয়ে যায় সাদা-কালো বাহিনী। ৬ মিনিটের ব্যবধানে ফের একটি গোল। এরপর মহমেডানে শুধুই গোলের বন্যা। ২৮ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ডেভিড লালহানসাঙ্গা। কলকাতা লিগ হোক বা ডুরান্ড, মহমেডান স্পোর্টিংয়ের এই তরুণ ফুটবলার বিধ্বংসী ফর্মে রয়েছেন। এ দিন জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ৬-০ ব্যবধানে জয়ে চারটি গোল ডেভিডের। প্রথমার্ধে ৩-০ এগিয়েছিল মহমেডান। দ্বিতীয়ার্ধে ক্ষণিকের চাপ তৈরি হয়েছিল। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় জামশেদপুর। সেটাও সেভ করে দেন মহমেডান গোলরক্ষক। এরপর আরও তিন গোল ডেভিডের। কিন্তু গোল পার্থক্যে মোহনবাগানকে ছাপিয়ে যাওয়া হল না।
গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলগুলির মধ্যে মোহনবাগান গোলপার্থক্যে অনেকটাই এগিয়ে। তাদের সঙ্গে সমান পয়েন্টে রয়েছে গ্রুপ এফ-এ থাকা ভারতীয় সেনা। আগামী কাল তাদের প্রতিপক্ষ রাজস্থান ইউনাইটেড। আই লিগের এই দল জিতলে ৬ পয়েন্ট হবে। তারা বিশাল ব্যবধানে জিতলে স্বাভাবিক ভাবেই গ্রুপ থেকে শীর্ষস্থানে থেকে নকআউটে যেতে পারে। আর হারলে এমনিতেই ছিটকে যাচ্ছে। ফলে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের পাশাপাশি এ দিন নকআউট নিশ্চিত হয়ে গেল মোহনবাগানেরও। কোয়ার্টার ফাইনাল হোক বা পরবর্তী রাউন্ড, এ বারের ডুরান্ডে আরও একটা বড় ম্যাচ দেখা যেতেই পারে।