নয়াদিল্লি: ম্য়াগনাস কার্লসেন (Magnus Carlsen) নতুন নন, এর আগে ভারতীয় তরুণের কাছে হেরেছেন তিনি। ফিডে বিশ্বকাপের (FIDE World Cup 2023) ফাইনাল যে সহজ হবে না, বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু ভালোই জানতেন। হয়েওছে তাই। দু’দিনের ফাইনালে প্রথম দিন সাদা ঘুঁটি নিয়ে কার্লসেনকে থামিয়ে দিয়েছেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ (Rameshbabu Praggnanandhaa)। আজ সাদা ঘুঁটি নিয়ে নামবেন কার্লসেন। আজও যদি ড্র হয়, তা হলে কিন্তু টাইব্রেকারে যাবে ফাইনাল। সেখানে কি বাজিমাত করতে পারবেন প্রজ্ঞানন্দ? বুধবারের সন্ধেটা ভারতীয়দের কাছে এক ঐতিহাসিক দিন। চন্দ্রযান-৩এর ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণ হবে আজ। সারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ বেঙ্গালুরুতে শ্রীহরি কোটায় গিয়ে হাজির হবেন। প্রজ্ঞানন্দের সঙ্গে চন্দ্রযানের সম্পর্ক কোথায়? ১৮ বছরের চেন্নাইয়ের ছেলে যদি আজ বিশ্বকাপ জেতেন, তা হলে ঐতিহাসিক দিনের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলতে পারবেন নিজের নাম। ভারতের ক্রীড়ামহল যে কারণে আজ প্রজ্ঞানন্দের সাফল্য চাইছেন। বিস্তারিত TV9Bangla Sportsএর এই প্রতিবেদনে।
বিশ্বনাথন আনন্দ থেকে গ্যারি কাসপারভ— বিশ্বের কিংবদন্তি দাবাড়ুরা প্রজ্ঞানন্দকে দেখে মুগ্ধ। আনন্দ তো বলেই দিয়েছেন, ‘অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স প্রজ্ঞানন্দের। ওর এই সাফল্য অনেক অনেক দিন মনে থাকবে। জুন থেকেই ও অসাধারণ খেলেছে। গ্লোবাল চেস লিগে প্রজ্ঞানন্দ নিজের ছাপ রেখেছে। সেরাটা দিয়েছিল। তার পর হাঙ্গারিতে দারুণ খেলেছে। তার পর এই বিশ্বকাপে নিজের জাত চেনাচ্ছে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে না উঠলে ক্যান্ডিডেটস-এ কোয়ালিফাই করা যায় না। যেটা বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ধাপ বলে ধরা হয়। সেটাও কিন্তু ছেলেটা নিজের ছন্দেই করেছে।’
এই প্রজন্মের কিছু তরুণ দাবাড়ু বিশ্ব দরবারে আলাদা করে নজর কেড়ে নিয়েছেন। প্রজ্ঞানন্দের পাশাপাশি ডি গুকেশ, ভিদাত গুজরাঠি, অর্জুন ইরিগাসি, নিহাল সারিনরা চমকে দেওয়ার পর মতো পারফর্ম করছেন। আনন্দ এই প্রজন্মের দাবাড়ুদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বলছেনও, ‘গুকেশ তো রেটিং লিস্টে আমাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। ৩৭ বছরের ইতিহাসে যা প্রথম। প্রজ্ঞানন্দ আমার পর প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে পা রেখেছে। ও হয়তো আমার পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে বিশ্বকাপ জিততেও পারে। আর সেটা যদি করতে পারে, চাঁদে চন্দ্রযান অবতরণের দিন আর একটা বিরাট ইতিহাস হবে।’
আজ কেন প্রজ্ঞানন্দকেই বাজি ধরছেন আনন্দ? পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নের যুক্তি, ‘কার্লসেন কখনও নকআউটে জিততে পারেনি। আর সেই কারণেই প্রজ্ঞানন্দ ভীষণ মোটিভেটেড থাকবে।’