পার্সোনাল কম্পিউটার (PC), ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। এখন যদি ল্যাপটপ আমদানি করতেই হয়, তাহলে সেক্ষেত্রেও আবার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। একমাত্র আমদানির লাইসেন্স থাকলেই তবে তা আমদানি করা যাবে। তবে শুধুই পার্সোনাল কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট নয়। তার পাশাপাশি ভারত সরকার আরও একাধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইসের আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে। জানা গিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি চুক্তি-1 (ITA-1) এর আওতায় মোট 250টি পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে কঠোর ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং তারপরই তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চলতি মাসের শুরুতেই পার্সোনাল কম্পিউটার থেকে শুরু করে ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট আমদানি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। একটি বিশেষ শর্তে এই নিষেধাজ্ঞা আপনার ক্ষেত্রে লাগু হবে না। কী সেই শর্ত? আপনি যদি ল্যাপটপ আমদানি করতে চান, তাহলে তার জন্য লাইসেন্সের দরকার হবে। 1 নভেম্বর, 2023 থেকে কম্পিউটার, ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটের উপরে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, এই তিনটি ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের পাশাপাশি ক্যামেরা, প্রিন্টার, হার্ডডিস্ক এবং টেলিফোনিক ও টেলিগ্রাফিক ডিভাইসের আমদানিও ব্যান করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছে ভারত সরকার?
কেন এমন সিদ্ধান্ত
আসলে ভারত সরকার দেশে তৈরি ল্যাপটপ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজটসের উপরে জোর দিতে চাইছে। সেই কারণেই বিদেশ থেকে আমদানি করা ডিভাইসগুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চাইছে। একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই পণ্যগুলির আমদানি FY23-এ 10.08 বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। সেই কারণে ভারতের বাইরে বিপুল পরিমাণ অর্থ চলে যাচ্ছে। তাতে ভারতের অর্থনীতি কোনও ভাবেই উপকৃত হচ্ছে না। পাশাপাশি ভারতে কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে না। ঠিক এমনই একটা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে সরকার এই বিরাট সংখ্যক গ্যাজেটের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।
তথ্যপ্রযুক্তি চুক্তি-1 (ITA-1) এর আওতায় আমদানি শুল্কমুক্ত 250টি পণ্যের আমদানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ITA-1 এর মধ্যে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, কম্পিউটার, টেলিকম ডিভাইস, অ্যাম্প্লিফায়ার, পরীক্ষার সরঞ্জাম এবং সফটওয়্যার। এখন রিপোর্টটি যদি বিশ্বাসযোগ্য হয়, তাহলে সরকার দামি প্রোডাক্ট চিপস এবং ডিসপ্লের উৎপাদন এলাকা বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে। তার থেকেও বড় কথা হল, প্রিন্টার, কীবোর্ড, হার্ড ডিস্ক এবং স্ক্যানার স্থানীয় উৎপাদনের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।