ভারতীয় সময় অনুযায়ী, সন্ধ্যা 6টা 04 মিনিটে অবতরণের কথা ছিল যানটির। কিন্তু তার তার আগেই , চন্দ্রযান-3 চাঁদের দক্ষিণ মেরুর পৃষ্ঠে অবতরণ করেছে। ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হয়ে উঠেছে। শুধু ভারত এবং ইসরোর বিজ্ঞানীরা নয়, প্রতিটি ভারতীয় একই প্রার্থনা করছেন। অবশেষে ভারতের 40 দিনের অপেক্ষার অবসান হলো। পৃথিবী থেকে চাঁদে 3.84 লক্ষ কিলোমিটার দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল যানটি। অবশেষে চন্দ্রযান-3 এর ল্যান্ডার বিক্রম সফলভাবে চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণ করেছে। রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের পর চাঁদে সফট ল্যান্ডিং করা ভারত বিশ্বের তৃতীয় দেশ। তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করা বিশ্বের প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে ভারত।
140 কোটি মানুষের প্রার্থনা এবং 16,500 ISRO বিজ্ঞানীদের চার বছরের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। ইসরো চাঁদে পতাকা উত্তোলন করেছে। “এখন শিশুরা শুধু চাঁদকে মামা বলে ডাকবে না। চাঁদ দেখে ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণ হবে, একথাও বলবে।” অভিনন্দন জানাতে গিয়ে একথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
ISRO-এর 16,500 বিজ্ঞানী গত চার বছর ধরে যে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন তা সম্পূর্ণ হয়েছে। সফট ল্যান্ডিংয়ে মাধ্যমে বিশ্বের চারটি দেশের তালিকায় এখন নাম যুক্ত হয়েছে ভারতেরও। চন্দ্রযান-3-এর সফল অবতরণের পেছনে বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি কাজ করেছে প্রায় 140 কোটি মানুষের প্রার্থনাও।
চন্দ্রযান-3-এর অবতরণ কীভাবে ঘটল?
বিক্রম ল্যান্ডার 25 কিলোমিটার উচ্চতা থেকে চাঁদে অবতরণের যাত্রা শুরু করেছিল। পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছাতে যানটির প্রায় 11.5 মিনিট লেগেছিল।
যখন এটি 7.4 কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছায়, তখন এর গতি প্রতি সেকেন্ডে 358 মিটার ছিল। পরবর্তী স্টপ ছিল 6.8 কিলোমিটার।
6.8 কিমি উচ্চতায়, গতি প্রতি সেকেন্ডে 336 মিটারে নেমে আসে। পরবর্তী স্তর ছিল 800 মিটার, যা যানটির কাছে সেই পরিস্থিতি মোটেই সহজ ছিল না।
800 মিটার উচ্চতায়, ল্যান্ডারের সেন্সরগুলি চাঁদের পৃষ্ঠে লেজার রশ্মি রেখে অবতরণের জন্য সঠিক জায়গা খুঁজে পেতে শুরু করে।
150 মিটার উচ্চতায় ল্যান্ডারের গতি প্রতি সেকেন্ডে 60 মিটার হয়। মানে 800 থেকে 150 মিটার উচ্চতার মধ্যে এই গতিই থাকে।
60 মিটার উচ্চতায় ল্যান্ডারের গতি প্রতি সেকেন্ডে 40 মিটার। মানে 150 থেকে 60 মিটার উচ্চতার মধ্যে।
10 মিটার উচ্চতায় ল্যান্ডারের গতি প্রতি সেকেন্ডে 10 মিটার।
চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের সময় সফল অবতরণের জন্য ল্যান্ডারটির গতি ছিল 1.68 মিটার প্রতি সেকেন্ডে।