বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। পাখির পালকের মতো চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-3। তারই কয়েক প্রহর আগে আর একটা বড়সড় কাজ করে ফেলল চন্দ্রযান-3 এর ল্যান্ডার মডিউলটি। চাঁদের কক্ষপথে ইতিমধ্যেই যে চন্দ্রযান-2 রয়েছে, তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে করল চন্দ্রযান-3 এর ল্যান্ডার মডিউল। সোমবার ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গ্যানাইজ়েশন বা ISRO-র তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান-2 লঞ্চ করা হয়েছিল 2019 সালে, যার ল্যান্ডারটি চাঁদের দিকে সফল অরবিট এবং ডি-অরবিট মানুভারের পরেও যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিল।
এদিন X-এ ভারতের স্পেস রিসার্চ অর্গ্যানাইজ়েশনটি লিখছে, “স্বাগতম, বন্ধু! Ch-2 অরবিটার আনুষ্ঠানিকভাবে Ch-3 LM-কে স্বাগত জানায়। দুজনের মধ্যে দ্বিমুখী (Two-way) যোগাযোগ স্থাপিত হয়। LM (ল্যান্ডার মডিউল)-এ পৌঁছানোর জন্য MOX-এর কাছে এখন আরও রুট রয়েছে। আপডেট: ল্যান্ডিং ইভেন্টের সরাসরি সম্প্রচার শুরু হয় ভারতীয় সময় 17:20-তে।”
Chandrayaan-3 Mission:
‘Welcome, buddy!’
Ch-2 orbiter formally welcomed Ch-3 LM.Two-way communication between the two is established.
MOX has now more routes to reach the LM.
Update: Live telecast of Landing event begins at 17:20 Hrs. IST.#Chandrayaan_3 #Ch3
— ISRO (@isro) August 21, 2023
চার বছর আগে চন্দ্রযান-2 চাঁদের মাটিতে তার সফ্ট ল্যান্ডিংয়ে ব্যর্থ হয়। চন্দ্রযান-2 এর ব্যর্থতা থেকে কী শিক্ষা নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন ISRO-র প্রাক্তন ডিরেক্টর। রবিবার তিনি সংবাদমাধ্যম ANI এর কাছে বলেছেন, “আগের বার অবতরণের ব্যর্থ প্রক্রিয়াটির পরে আমরা একাধিক তথ্যের বিশ্লেষণ করে দেখেছি। তার উপরে ভিত্তি করে এখন কিছু সংশোধনমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়। সংশোধন করে নেওয়ার থেকেও বেশি কিছু করে দেখেছি আমরা।”
তিনি আরও যোগ করে বললেন, “যেখানে-যেখানে মার্জিনগুলি কম ছিল, আমরা সেগুলিকে বাড়িয়েছি। চন্দ্রযান-2 থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা এখন নতুন সিস্টেমটিকে আগের থেকে আরও বেশি রুক্ষ্ম এবং শক্তপোক্ত করেছি।”
2019 সালের সেপ্টেম্বরে যখন চন্দ্রযান-2 লঞ্চ করা হয়েছিল, তখন ISRO-র মুখ্য ছিলেন কে সিভন। চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেও মিশনটি ব্যর্থ হয় সফ্ট ল্যান্ডিং করতে। তার কারণ, চাঁদের মাত্র 2.1 কিলোমিটার উপরে বিক্রম ল্যান্ডারটি গ্রাউন্ড স্টেটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল।