Asansol News: ২২ ঘন্টা পর…
স্বাধীনতা দিবসের সকালে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে আসানসোলে গাড়ুই নদীতে তলিয়ে গেল যুবক। মঙ্গলবার সকাল এগারোটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের নয়া মহল্লার সিদ্দিকি ব্রিজের কাছে। ঘটনার প্রায় ২২ ঘন্টা পরে বুধবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের উদ্ধারকারী দল স্পিডবোট নামিয়ে একই জায়গা থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
স্বাধীনতা দিবসের সকালে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে আসানসোলে গাড়ুই নদীতে তলিয়ে গেল যুবক। মঙ্গলবার সকাল এগারোটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের নয়া মহল্লার সিদ্দিকি ব্রিজের কাছে। ঘটনার প্রায় ২২ ঘন্টা পরে বুধবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের উদ্ধারকারী দল স্পিডবোট নামিয়ে একই জায়গা থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তা ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। নয়া মহল্লার বাসিন্দা গাড়ুই নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হওয়া যুবকের নাম মহম্মদ আকিব ওরফে সাদাব খান (২১)।এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা আসানসোল পুরনিগম ও জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। বুধবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল এগারোটার পরে আসানসোল পুরনিগমের ২৫ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের নয়া মহল্লা এলাকায় সিদ্দিকি ব্রিজের কাছে গাড়ুই নদীতে দুই বন্ধুর সঙ্গে মহম্মদ আকিব ওরফে সাদাব খান স্নান করতে নামে। আচমকাই তিনজন নদীর জলে তলিয়ে যেতে শুরু করে। দুই বন্ধু কোনোরকমে বেরিয়ে আসে। কিন্তু মহম্মদ আকিব নদীতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা নদীর চারপাশে এসে জড়ো হন। আসে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। প্রথমে এলাকার বাসিন্দারা নদীতে নেমে যুবকের খোঁজ চালানো শুরু করেন। এরপর আসানসোল পুরনিগমের কর্মীরা আসেন। পরে আসেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের উদ্ধারকারী দল। তারা নদীতে স্পিডবোট নামিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। কিন্তু নদীতে প্রচুর আবর্জনা জমে থাকায় সেই কাজ ব্যহত হয়। মঙ্গলবার রাতের মধ্যে আর যুবকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বুধবার সকাল থেকে আবার তল্লাশি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত যে জায়গায় যুবক তলিয়ে গেছিলো, সেই একই জায়গা থেকে আকিবের নিথর দেহ পাওয়া যায়। স্বাভাবিক ভাবেই সেই সময় সেখানে থাকা যুবকের বাবা পেশায় রিক্সাচালক ফিরোজ খান ওরফে মহম্মদ বারিক সহ আত্মীয় পরিজনের কান্নায় ভেঙে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে এসেছিলেন আসানসোল পুরনিগমের কংগ্রেস কাউন্সিলর এস এম মুস্তাফা, কংগ্রেস নেতা শাহ আলম, প্রসেনজিৎ পুইতুন্ডিরা। তাদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে প্রশাসন উদ্ধার কাজে এসেছে। আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষও অনেক দেরি করেছে। কংগ্রেস নেতৃত্ব ও এলাকার বাসিন্দারা এদিন বলেন, যুবকের পরিবারের একজনকে চাকরি ও আর্থিক ক্ষতি পূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের বক্তব্য, ভোট এলেই বলা হয় গাড়ুই নদী সংস্কার হবে। অনেক পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু বাস্তবে কিছু যে হয়নি বা হয়না তার আজকের গাড়ুই নদী চেহারা দেখলেই বোঝা যাবে। আগামী ২১ আগষ্ট আবার এই দাবি নিয়ে আসানসোল পুরনিগম ঘেরাও করা হবে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক ও বোরো চেয়ারম্যান উৎপল সিনহা বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি যুবককে খুঁজে বার করতে। কিন্তু আমরা তাকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারিনি। বোরো চেয়ারম্যান উৎপল সিনহা আরো বলেন, সেচ দফতর এই গাড়ুই নদী সংস্কার করা নিয়ে ১ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। শীঘ্রই গারুই নদী পরিষ্কার করার কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, নদীতে ময়লা না ফেলার জন্য মানুষকেও সতর্ক থাকতে হবে। বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় গাছ-গাছালি হয়। যা নদীতে পড়ে নদীর গতিপথ আটকে দেয়। শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।