Katwa News: ২০ বছর পর আচমকা বাড়ি ফেরা!
হারানো স্মৃতি হাতড়ে 20 বছর পর বাড়ী ফেরা।সকলকে চমকে দিয়েই বাড়ির ছেলের আগমনে আত্মহারা পরিবার।তবুও পরিবার থেকে গ্রামবাসীদের বিস্ময়ের ঘোর "এভাবেও কি ফিরে আসা যায়",ফিল্মি দুনিয়ার কাহিনীকে হার মানিয়ে দেওয়া সেই আগন্তুক কে এক ঝলক স্বচক্ষে দেখতে ভিড় এলাকাবাসীদের।
হারানো স্মৃতি হাতড়ে 20 বছর পর বাড়ী ফেরা।সকলকে চমকে দিয়েই বাড়ির ছেলের আগমনে আত্মহারা পরিবার।তবুও পরিবার থেকে গ্রামবাসীদের বিস্ময়ের ঘোর “এভাবেও কি ফিরে আসা যায়”,ফিল্মি দুনিয়ার কাহিনীকে হার মানিয়ে দেওয়া সেই আগন্তুক কে এক ঝলক স্বচক্ষে দেখতে ভিড় এলাকাবাসীদের। পড়ন্ত বিকালের মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম অঞ্চলের তাতারপুর গ্রামের মোরাম রাস্তায় পথ চলতি মানুষজনের উদ্যেশ্যে মাঝ বয়সী ব্যক্তির অনুরোধ”আমার বাড়িটা চিনিয়ে দেবে গো” গ্রাম্য সুরে এমন অনুরোধে হতবাক দৃষ্টি তাদের।পরক্ষণেই আমি “যদুনাথ গো,রঘুনাথের ভাই।ফিরে এসেছি”ততক্ষনে পথ চলতিদের কয়েকজন বুঝে যায় আরে এতো 20 বছর আগে নিরুদেশ হয়ে যাওয়া গ্রামের যদুনাথ খাঁ। 20 বছর আগের ছেড়ে যাওয়া বসত বাড়ির চেহারা বদলে যাওয়ায় বাড়ি চিনতে সমস্যা হলেও দাদা কে চিনতে অসুবিধা হয়নি যদুনাথের।ইতি উতি সন্দেহ ও হাজার প্রশ্নের মাঝে পরিবারের পুরানো স্মৃতি ও পরিচিতদের চিনতেই এযে গ্রামের হারিয়ে যাওয়া ছেলে বুঝতে পারে সকলেই।সেই সঙ্গে নিশ্চিত ভরসা যদুনাথকে বাড়ি পৌঁছে দিতে আসা বোম্বের (মুম্বাই)এক স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার কয়েকজন।স্বামী ফিরে এসেছে খবর পেয়েই সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে ফিরেছে স্ত্রী।কিন্তু বাড়ীতে ঘর না থাকায় ফিরে গেছে।দিন কয়েকের মধ্যেই ফের ফিরে এসে আপাতত স্বামীকে নিয়ে গিয়ে রাখবেন বাপের বাড়িতে। তখন 22 বছরের যদুনাথ।বাড়িতে স্ত্রী বছর তিনেকের ছেলে ও সদ্যজাত মেয়ে।মা ও দাদা বৌদি নিয়ে পরিবার।সংসারের আয় কৃষি জমি থেকেই।হঠাৎ মানসিক ভারসাম্য হারায় যদুনাথ।একদিন নিরুদেশ হয়ে যায় বাড়ি থেকে।তিন বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজিও করা হয়।কোন খোঁজ মেলেনা তার।যদুনাথের বয়স্কা মা মারা যেতেই স্ত্রী লক্ষী খাঁ সন্তানদের নিয়ে চলে যায় বাপের বাড়ি।বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও কোন কোন খোঁজ মেলেনি যদুনাথের।এক সময় যদুনাথ হয়তো আর নেই ধরেই নিয়েছিল তার পরিবার। গত 15 আগস্ট যদুনাথ বাড়ি ফিরলেও এখনো অসুস্থ।মাঝে মাঝেই বলছে অসংলগ্ন কথা।সে শুধু জানিয়েছে,বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রেনে চাপে।তাকে পৌঁছে দিতে আসা বোম্বের (মুম্বাই) স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার লোকজন পরিবার কে জানিয়েছে মুম্বাই শহরে উদ্বান্তের মতো ঘুরতে দেখে তাকে রেসকিউ করে একটি আশ্রমে রেখে চিকিৎসা করানো হয়।ধীরে ধীরে সে স্মৃতি শক্তি ফিরে পায়।মাস ছয়েক আগে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের তাতারপুর গ্রামে ফিরতে চেয়ে আবদার শুরু করে।নেটে এই গ্রাম দেখে তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সংস্থার তরফে।যদুনাথ নিজেই বর্ধমান স্টেশনে নেমে তাদের গ্রাম চিনিয়ে নিয়ে আসে।