Chinsura News: তোলা না পেয়ে মারধর কাউন্সিলরের স্বামীর!

Chinsura News: তোলা না পেয়ে মারধর কাউন্সিলরের স্বামীর!

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Moumita Das

Updated on: Aug 24, 2023 | 7:16 PM

হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কাউন্সিলর রীতা দত্তর স্বামী স্বপন দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বুধবার সন্ধায় চুঁচুড়া চকবাজারে জগন্নাথ খাঁড়ার হোটেলে চড়াও হন স্বপন।পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে বলেন।ব্যবসায়ী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে কলার ধরে মারধোর করে।

হোটেল ব্যবসায়ীর কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা তোলা চেয়ে না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কলার ধরে মারধোরের অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে!টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার তৃনমূল নেতরা। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কাউন্সিলর রীতা দত্তর স্বামী স্বপন দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বুধবার সন্ধায় চুঁচুড়া চকবাজারে জগন্নাথ খাঁড়ার হোটেলে চড়াও হন স্বপন।পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে বলেন।ব্যবসায়ী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে কলার ধরে মারধোর করে।হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।হোটেলের সিসি ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পরে। হোটেলের সামনে উনুনের জন্য ড্রেন পরিষ্কারে অসুবিধা হয় বলে পুরসভা থেকে উনুন সরিয়ে ফেলতে বলা হয় কিছু দিন আগে।উনুন না সরানোয় কাউন্সিলরের স্বামী চাপ সৃষ্টি করেন। জগন্নাথ খাঁড়া বলেন,৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের স্বামী আমার কাছে এসে বলে নির্দেশ আছে হোটেল ভেঙে সরিয়ে দেওয়ার।আমি বলি আমার কাছে কোন নির্দেশ আসেনি। পুরসভায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এমন কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি।এরপরই সন্ধ্যেবেলায় স্বপন দত্ত এসে আমার হোটেলে চড়াও হয় পঞ্চাশ হাজার টাকা চায় আমাকে মারধর করে হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি গোটা বিষয়টা ব্যবসায়ী সমিতিকে জানিয়েছি। স্বপন দত্ত বলেন, মহকুমা শাসকের নির্দেশ আছে জবর দখল ভেঙে সরিয়ে দেওয়ার।সেটাই ওকে বলতে গিয়েছিলাম। আমি পঞ্চাশ হাজার টাকা চেয়েছি এ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।রাস্তার পাশে ড্রেন দখল করে রেখেছে, পুরসভা রাস্তার উপরে দোকানের ছাউনি বেরিয়ে আছে।মহকুমা শাসকের নির্দেশ আছে জবর দখল সরিয়ে দেওয়ার।সেটাই বলতে গিয়েছিলাম।হোটেল ব্যবসায়ীর এই বেআইনি জবর দখলে আমার দলেরই লোক ওকে সাহায্য করছে। তৃণমূল কাউন্সিলর রিতা দত্ত বলেন, চকবাজার এলাকায় কিছু দোকানের সামনে জবর দখল হয়ে থাকায় নিকাশি সমস্যা হচ্ছিল।একটু বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে যাচ্ছিল রাস্তা।তাই ছড়িয়ে দেওয়া হয়।হোটেল ব্যবসায়ীকে বলা হলো তিনি শোনেননি।উল্টে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ করে।অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে শুধু উনুন ভাঙবো না ওর হোটেলেই ভেঙে সরিয়ে দেবো। চকবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মদনমোহন পাল বলেন,চকবাজারে ব্যবসা করে কত টাকা আয় হয় যে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে।৫০-১০০ হলে ঠিক আছে।আর জন প্রতিনিধি হয়েছে বলে কি মাথা কিনে নিয়েছে নাকি।বলছে হোটেল বন্ধ করে দেবে। ৭০ বছরের ব্যবসা কি করে বন্ধ করবে।এর আগে অনেক জনপ্রতিনিধি এসেছে গেছে পুরসভার চেয়ারম্যান বদল হয়েছে কোনদিনও এমন হয়নি।ব্যবসায় সমিতির সদস্যের ওপর আক্রমণ আমরা মানবো না।আইনত দিক থেকে যা করার করব। বিজেপি হুগলী সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন,তৃণমূলের এটাই ধর্ম। একবার ভোটে জিতে গেলে মানুষের ওপর ব্যবসায়ীদের ওপর অত্যাচার করে।চকবাজারে ঘটনা তারই উদাহরণ।