Rajganj Ghost Fear: সন্ধে নামলেই নিশির ডাক!
সন্ধ্যা নামলেই নিশির ডাক, ভূতের তান্ডব। ভূত লাফিয়ে বেরায় গ্রাম জুড়ে। অতৃপ্ত অশরীরী আত্মার ভয়ে সন্ধ্যা হলেই গ্রামের কেউ বাইরে বের হচ্ছেনা। কয়েকটি অস্বাভাবিক আগুন লাগবার ঘটনার পর অশরীরী আত্মার আতঙ্কে সিটিয়ে গিয়েছে রাজগঞ্জের সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোসাইয়াখারা গ্রাম।
সন্ধ্যা নামলেই নিশির ডাক, ভূতের তান্ডব। ভূত লাফিয়ে বেরায় গ্রাম জুড়ে। অতৃপ্ত অশরীরী আত্মার ভয়ে সন্ধ্যা হলেই গ্রামের কেউ বাইরে বের হচ্ছেনা। সাম্প্রতিক কয়েকটি অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং কয়েকটি অস্বাভাবিক আগুন লাগবার ঘটনার পর অশরীরী আত্মার আতঙ্কে সিটিয়ে গিয়েছে রাজগঞ্জের সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোসাইয়াখারা গ্রাম। পাছে কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে এই আশঙ্কায় রাজগঞ্জ ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই গ্রামে সন্ধ্যের পর গ্রামবাসীরা কেউ রাস্তায় বেরোচ্ছেন না। রাজগঞ্জের গোসাইয়াখারা গ্রামে ১৪০ টি পরিবারের বসবাস। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষের ধারনা সন্ধ্যার পর কেউ বাড়ির বাইরে বেরোলে কোনও অশরীরী অতৃপ্ত আত্মা কারও না কারও উপর ভর করতে পারে। যার ফল হয়তো শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যায় মৃত্যু। আর এই ধারনার জেরে তারা সন্ধ্যা নামলেই বাড়ি থেকে বাইরে বের হওয়া বন্দ করে দিয়েছেন। গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গফফর বলেন, কয়েকদিন আগে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করে। তার পর থেকেই পুরোনো একটি ভয় গ্রামবাসীদের মনে বাসা বেঁধেছে। তাঁর বক্তব্য, কোনও এক অশরীরি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ওই মহিলাকে নিয়ন্ত্রণ করত। তাই মৃত্যুর আগে সে প্রলাপ বকতো, অস্বাভাবিক আচরণ করতো। তারপরই গৃহবধূ কোনও কারণ ছাড়াই আত্মহত্যা করে। মৃত্যুর আগে ওই মহিলা অস্বাভাবিক আচরনের জন্য ওষুধপত্রও খেত। কিন্তু তা খুব একটা কাজে লাগে নি বলে জানান তিনি। একইসাথে তার আরও অভিযোগ এই গ্রামে মাঝে মধ্যেই পোয়ালের পুঁজিতে আগুন লাগে। এই নিয়ে এলাকার বিএসএফ কর্মীদের সাথে তারাও রাত জেগে গ্রাম পাহাড়া দিয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। গ্রামের অন্য বাসিন্দা সাত্তার আলি, রহিমা খাতুন বলেন, বেশ কিছুদিন ওই পাড়ারই এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। তার পরেই আরও দুই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। আর এর পর থেকে গ্রামে সন্ধ্যা নামলেই ভূতের লাফালাফি শুরু হয়েছে। আর এই প্রত্যেক মৃত্যুর ক্ষেত্রেই দেখা দিয়েছে তাঁরা নাকি কোনও অশরীরির আত্মার নিয়ন্ত্রণে চলতো। তাঁদের দাবি ঝড়ফুঁক, ডাক্তার বদ্যিতেও নাকি কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাঁরা নাকি আত্মহত্যা করেছে। ঘটনায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার স্বস্তি শোভন চৌধুরীর জানানকারোর মৃত্যুর পর তার অস্তিত্ব থাকা নিয়ে বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকে ভয় দেখানো হয়। যেগুলি বড় হয়েও তাদের মনে থেকে যায়। এছাড়া এই জাতীয় ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে যখন একই এলাকায় অনেক লোক একই ধরনের কথা বলতে থাকে তখন ওই এলাকার বাকী মানুষ তা বিশ্বাস করতে থাকে। এইভাবে ভূতের ভয় গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে তিনি সম্প্রতি ময়নাগুড়ি দোমহনীতে রেল দুর্ঘটনার পর ওইখানে পড়ে থাকা বগি গুলি থেকে বাতাসের বিভিন্ন শব্দকে স্থানীয় বাসিন্দারা ভূতের কান্নার আওয়াজ বলতে শুরু করেছিলেন। সেইসময় গ্রামে এমন অবস্থা হয়েছিলো যে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা ওই এলাকায় ঘুরে রাত জেগে মানুষেরা মনে আস্থা ফিরিয়ে ছিলেন।পরে বগি গুলি নিয়ে গেলে মানুষের ভয় কেটে যায়। এইক্ষেত্রেও ওই গ্রামে অবিলম্বে বিজ্ঞান মনস্ক সংগঠন এবং প্রশাসনের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে জানান তিনি।