Panskura News: চন্দ্রযান দলে পাঁশকুড়ার পীষূষও
ভারতের গর্বের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকে ও উচ্ছাস ও আবেগের শীর্ষে এখন টিম চন্দ্রযানের পীযুষ পট্টনায়েক। স্বপ্নের চন্দ্রযান ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল পাঁশকুড়ার ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কাটাল গ্রামের বাসিন্দা পীযুষ পট্টনায়েকের হাতেই ছিল
সারা বিশ্ব দরবারে উঁচু হয়েছে ১৪০কোটির ভারতবর্ষের নাম। ভারতের গর্বের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকে ও উচ্ছাস ও আবেগের শীর্ষে এখন টিম চন্দ্রযানের পীযুষ পট্টনায়েক। স্বপ্নের চন্দ্রযান ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল পাঁশকুড়ার ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কাটাল গ্রামের বাসিন্দা পীযুষ পট্টনায়েকের হাতেই ছিল। পাঁশকুড়া ব্লকের ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কাটাল প্রাইমারি স্কুলে বাংলা মাধ্যমে পীযূষকান্তি পটনায়কের পড়াশোনা জীবন শুরু হয়। তারপর পাঁশকুড়া ব্র্যাডলি বার্ট হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।এরপর কল্যাণী গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিটেক পাশ করেন। এরপর ২০১৫ সালে খড়্গপুর আইআইটি থেকে এমটেক সম্পূর্ণ করেন। ওই বছরই ইসরোতে যোগ দেন। আট বছর ধরে ইসরোর কর্মরত পাঁশকুড়ার এই কৃতী যুবক। বাবা রাধাকান্ত পট্টনায়ক সেচদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। মা অনিমা পট্টনায়ক গৃহবধূ। স্বামী চন্দ্রযান-৩ এর সদস্য হওয়ায় সকলের মতো গর্বিত পীযূষকান্তির স্ত্রী ঐন্দ্রিলা পাল পট্টনায়েকও। ইসরোর বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও পীযূষকান্তি বাড়িতে পাঠিয়েছেন। প্রতিবেশীরাও পট্টনায়ক পরিবারে গিয়ে তাদের থেকে নানা অভিজ্ঞতা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন। পাঁশকুড়ার এক অনামী গ্রাম থেকে বেঙ্গালুরুর ইসরো অফিস- নিজের জেদ এবং মেধাকে পাথেয় করে মহাকাশে পৌঁছনোর স্বপ্ন সত্যি করেছেন পীযূষ। চন্দ্রযান ২ ও ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সামলেছেন। স্বভাবতই,চন্দ্রযান ৩ গতকাল চাঁদের মাটিতে অবতরণ করায় খুশিতে আত্মহারা পরিবারের লোক সহ এলাকাবাসীরা। উত্তর কোটালের পীযূষ কান্তি পট্টনায়েকের গ্রামের বাড়ি উত্তর কাটাল এখন কাকার পরিবার।পীযূষের সফলতায় খুশী তারা।