Crime Against Women: প্রেমের টানে এসেছিলেন, তারপর...

Crime Against Women: প্রেমের টানে এসেছিলেন, তারপর…

TV9 Bangla Digital | Edited By: Tapasi Dutta

Aug 24, 2023 | 6:02 PM

যেন ভিনদেশী রোকিয়া ও সম্রাটের হাড়হিম করা সিনেমার চিত্রনাট্য। বাংলাদেশের একই গ্রামে বাড়ি এই প্রেমিক-প্রেমিকার। ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিল। কিন্তু ফন্দি ছিল অন‍্য‌।ভিনদেশে ঘর বাধার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু ভালোবাসার মধ্যে যে কাটা রয়েছে সেটা প্রকাশ হতেই একরাশ তিক্ততা নিয়ে দেশে ফিরল রোকিয়া। প্রেমিক সম্রাটের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।

এ যেন ভিনদেশী রোকিয়া ও সম্রাটের হাড়হিম করা সিনেমার চিত্রনাট্য। বাংলাদেশের একই গ্রামে বাড়ি এই প্রেমিক-প্রেমিকার। ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিল। কিন্তু ফন্দি ছিল অন‍্য‌। পরে প্রেমিকা জানতে পারে তার প্রেমিক মোটা অর্থের বিনিময়ে ভিন রাজ্যে রোকেয়াকে বিক্রি করার ফন্দি করছিল। তা জানতে পেরেই বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সীমান্তে বিএসএফের জালে ধরা পড়ে সে। বাংলাদেশের চাঁদিপুরের ডুরুলিয়া গ্রামের প্রেমিক-প্রেমিকা। ঐ গ্রামেরই বছর ২০ এর সম্রাট গাজীর সঙ্গে বছর ১৯ এর এক তরুণী রোকিয়া সুলতানার ফেসবুকে ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিক বার আলাপ পরিচয় ঘটে। তারপরে তারা ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে দুজনই দেশ ছেড়েছিল চলতি বছরের ২৩শে জুলাই। সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজর এড়িয়ে তারা এদেশে প্রবেশ করে। তারপর নাম পরিচয় গোপন রেখে গত এক মাস ধরে বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় দু’জনে বসবাস করছিল। এর মধ্যেই ঘটে বিপত্তি। প্রেমিকা জানতে পারে তার প্রেমিক মোটা টাকায় তাকে বিক্রি করার ফন্দি এঁটেছে। সেখান থেকে ঐ তরুণী কোনোরকমে পালিয়ে বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টে বাংলাদেশের ঢোকার চেষ্টা করে। সেই সময় ওই তরুণী ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমন্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের হাতে আটক হয়। তখন ওই তরুনী বিএসএফকে বিস্তারিত জানায়। তার বাড়ির ঠিকানা, কিভাবে এ দেশে ঢুকেছিল, কে এনেছিল, কোথায় কোথায় ছিল সব জানায়‌। সে জানায়, গত মাসেের ২৩শে জুলাই বাংলাদেশ থেকে বিয়ে করবে বলে ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে এদেশে ঢুকেছিল। ঘটনা জানতে পেরে নড়েচড়ে বসে সীমন্ত রক্ষী বাহিনী। তারপর বিএসএফ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। জানা যায়, সত্যিই ওই তরুণীর বাড়ি বাংলাদেশের চাঁদিপুর এলাকায়। জানা যায় ওই তরুণী নির্দোষ। এরপরই দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মধ্যে প্রশাসনিক আলোচনা শুরু হয়। বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কোম্পানি কমান্ডার মণিষ কার্কি, ওপার বাংলার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের আধিকারিকদের সঙ্গে এক জায়গায় বসে একটি ফ্ল‍্যাগ মিটিং করেন। উপযুক্ত নথিপত্র আদান প্রদানের পর ওই তরুণীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তরুণী ভালবাসার অনেক স্বপ্ন নিয়ে একই গ্রামের যুবকের সঙ্গে দেশ ছেড়েছিল। ভিনদেশে ঘর বাধার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু ভালোবাসার মধ্যে যে কাটা রয়েছে সেটা প্রকাশ হতেই একরাশ তিক্ততা নিয়ে দেশে ফিরল রোকিয়া। প্রেমিক সম্রাটের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।