আদিবাদীদের বনধ
(নিজস্ব চিত্র)
পুরুলিয়া, বাঁকু়ড়া, ঝাড়গ্রাম: আদিবাসীদের স্বীকৃতিদানের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ। আদিবাসী ফোরামের ডাকে বৃহস্পতিবার বাংলা বনধের ডাক। রাস্তা অবরোধ, বাস না পেয়ে ভোগান্তি যাত্রীদের। তবে ছাড় রেল পরিষেবাকে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বনধের আংশিক প্রভাব।
এক নজরে সকল আপডেট। (সর্বশেষ তথ্য উপরে)
- সকাল থেকেই কোনও বেসরকারি বাস চলাচল করছে না ৷ শুনসান বালুরঘাট পাবলিক বাসস্ট্যান্ড চত্বর। বনধ সফল করতে বালুরঘাট হিলি মোড়, থানা মোড় সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং শুরু হয়েছে। এ দিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বালুরঘাট শহর সহ জেলা জুড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
- বাঁকুড়া জেলার হেভির মোড়, পুয়াবাগান মোড়, বাংলা জয়েন্ট মোড় সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পথ অবরোধ শুরু করেন আদিবাসীরা। এর জেরে সকাল ৬ টা থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক, ৬০ এ জাতীয় সড়ক সহ জেলার প্রায় সমস্ত রাজ্য সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে পূর্ব ঘোষণা মতো এই বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে রেল পরিষেবাকে। ছাড় দেওয়া হয়েছে দুধের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবাকে।
- আদিবাসী সংগঠনের ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের প্রভাব পড়ল কাটোয়ায়। কাটোয়া শহরের প্রবেশ মুখেই জাজিগ্রামে আদিবাসী সংগঠন রাস্তা অবরোধ করে। সকাল ছ’টা থেকে সন্ধ্যে ছ’টা পর্যন্ত চলবে।ঘটনাস্থলে রয়েছে কাটোয়া থানার পুলিশ। বিভিন্ন যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ঘাটাল চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কে আটকে দেওয়া হল সরকারি বাস। ওই বাসটি বর্ধমান যাচ্ছিল। চরম সমস্যায় যাত্রীরা।
- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে থরে থরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন বাস। সাত সকালে মূল প্রভাব পড়েছে গণপরিবনে। রাস্তায় নামেনি কোনও বাস। এখন পর্যন্ত সেভাবে কোনও গণপরিবহন ব্যবস্থা চোখে পড়ছে না ।
- বনধের জন্য পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। বেসরকারি বাসও এখনও সেভাবে রাস্তায় বের হয়নি।
- মূলত কুড়মি, মাহাতদের তফশিলি উপজাতির হওয়ার জন্য সিআরআই রিপোর্ট ফিরে পাঠানোর দাবির বিরোধিতা করে এই বনধের ডাক দিয়েছে আদিবাসী সংগঠনগুলি।
- আদিবাসীদের ২৬টি সংগঠনের ডাকা বাংলা বনধে সকাল থেকেই প্রভাব দেখা গেল পুরুলিয়ার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে। এ দিন মানবাজার সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সকাল থেকেই বনধ সফল করার লক্ষ্য নিয়ে পথে নামেন আদিবাসীরা। বন্ধ করে দেওয়া হয় যানবাহন চলাচল।