আলিপুরদুয়ার: বিজেপি কর্মীর উপর নৃশংস হামলা। চোখ থেকে গলগলিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের ভাটিবাড়ির থানুপাড়াতে ঘটেছে। এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ উড়িয়ে ঘটনাকে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের ফল বলে দাবি করেছে। এলাকায় বিজেপি করেন হরিশ দাস। তাঁর বাড়িতে বিজেপির পতাকা লাগানো। অভিযোগ, শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা নাগাদ একদল দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। মারধর করা হয় তাঁকেও। এই ঘটনায় আরও ২ জন আহত হয়েছেন। হরিশের চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। মারাত্মকভাবে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দলের তরফে দাবি।
রবিবার আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। হাসপাতালে পৌঁছন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ। তাঁর দাবি, বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। তাঁরা যাতে কোনওভাবেই বিজেপি না করেন তার জন্য ভয় দেখাতে মারধর করছে। অধিকাংশ সময়ই তা নৃশংসতার পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি বিধায়কের।
মনোজ ওরাওঁ বলেন, “কুমারগ্রামে দুষ্কৃতী হামলা চলছে। জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ, অথচ তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না। তাই এদের সাহস আরও বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের কর্মীরা বাড়ির কাছে বসেছিলেন, সেখানেও মারধর করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ওরা রেফার করে দিয়েছে। জানিয়ে দিয়েছে ওদের পক্ষে এ চিকিৎসা সম্ভব না।” ওই বিজেপি কর্মীর চোখ রক্ষা করা যাবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান পরিবারের লোকজন। তাঁরা জানান, পিছন থেকে আঘাত করা হয়েছে হরিশকে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রতিবেশী দেশ নেপালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “অকারণে তৃণমূলকে দায়ী করা হচ্ছে। যে কোনও ঘটনায় বিজেপি এখন রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে। পারিবারিক ঘটনাতেও রাজনীতি চলে আসছে। আসলে ভাটিবাড়ির ঘটনাটি বিজেপির অন্তর্কলহের ফল। ওদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা ঘটেছে। তাতে তৃণমূলকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আসলে আলিপুরদুয়ারেই বিজেপি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে।”