আলিপুরদুয়ার: নিমাইটাপু এলাকা। ভল্কা-বারবিশা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই এলাকাটি অসম-বাংলা সীমানার কাছেই। আর তা ঘিরে যত টানাপোড়েন। অসম- বাংলা সীমান্তের সংকোশ নদী থেকে পরপর দু’দিনে হাতির মাথা ও পা উদ্ধার হয়। এবার উদ্ধার হওয়া সেই হাতির ‘রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া’ কী? অসমের না বাংলার? তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধন্দ। হাতির কাটা মুণ্ড ও পা উদ্ধারের নৃশংসতায় কেঁপে উঠেছে দু’রাজ্যই। চোরাশিকারীরা দাঁত কেটে নিয়ে দেহ টুকরো টুকরো করে নদীর জলে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অসম-বাংলা, দু’রাজ্যেরই বনমন্ত্রীর একই বক্তব্য। এই হাতি তাঁদের রাজ্যের নয়। তবে প্রশ্ন, মৃত হাতি কোন রাজ্যের?
সংকোশের পাশেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প। তবে কি চোরাশিকারীদের হাত এবার পড়ছে বক্সার উপর? এই প্রশ্নের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে চাইছেন না কোন আধিকারিকই। TV9 বাংলা এ ব্যাপারে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনিও এটা নিয়ে স্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেন নি। তাঁর বক্তব্য,”সাম্প্রতিককালে বক্সায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের সার্চে এমন কিছু তথ্য উঠে আসেনি। আর যে পা পাওয়া গিয়েছে, তা ওই হাতির কিনা তাও স্পষ্ট নয়। পরীক্ষা চলছে। দুটোর মিল পাওয়া যায় কিনা তা দেখা হচ্ছে।”
ঘটনার কয়েক দিন পরও হাতি রহস্য এখন ও রয়ে গেছে।তবে কি এই রাজ্যের বিন নদফতর বিষয় টি চেপে দিচ্ছে?প্রশ্ন উঠছেই। জঙ্গলে হাতির সংখ্যা বাড়ছে।খাবারের অভাব দেখা দিচ্ছে।হাতি গ্রামে খাবারের জন্য হানা দিচ্ছে।এই সুযোগ টিকে কাজে লাগিয়ে কি চোরাশিকারীরা সক্রিয় হচ্ছে?