আলিপুরদুয়ার: চোরা শিকারিদের নৃশংশতার আরও এক বড়সড় প্রমাণ মিলল বাংলায়। শুক্রবার বিকালের ঘটনায় শিউরে উঠল আলিপুরদুয়ারবাসী। এদিন বিকালে অসম-বাংলা সীমান্ত লাগোয়া সংকোশ নদীতে নজর পড়তেই চোখ কপালে ওঠে এলাকার বাসিন্দাদের। দেখা গেল নদীতে ভাসছে আস্ত একটা হাতির মাথা। দেখা মাত্রই খবর যায় ভলকা রেঞ্জ অফিসে। খবর পেয়ে বন কর্মীদের নিয়ে সংকোশ নদীর তীরবর্তী শালবাড়ি এলাকায় পৌঁছন ভলকা রেঞ্জ অফিসার প্রভাত বর্মন। উদ্ধার করা হয় হাতির মাথাটি। কিন্তু, দেখা যায় মুখে কোনও দাঁত নেই হাতিটির। ঘটনাটি ঘটেছে ভল্কা বারবিশা ২ গ্রামপঞ্চায়েতের পূর্ব শালবাড়ি এলাকায়।
বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, সংকোশ সংলগ্ন অসমের জঙ্গলেই চোরা শিকারিরা মেরে ফেলেছে হাতিটিকে। তারপরই তার দাঁত কেটে নিয়ে দেহ টুকরো করে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরই সেটা দেহাংশগুলি ভাসতে ভাসতে শালবাড়ি এসে যায়। নিজে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন। শুরু হয়েছে তদন্ত।
ঘটনাস্থলে ভল্কা ও কামাখ্যাগুড়ি মোবাইল রেঞ্জের বনকর্মী, আধিকারিকরা গেলেও তারা এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। কিন্তু, হাতটি আদপে কোন রাজ্য বা বনাঞ্চলের তা নিয়ে কিছু প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। উত্তর মেলেনি। খোঁজ খবর শুরু করেছে বন দফতর। যোগাযোগ করা হচ্ছে অসমের বন কর্তাদের সঙ্গেও। ঘটনায় রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এটি অসমের হাতি। কিন্তু অসমের বনমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী জানিয়েছেন, মৃত হাতিটি অসমের নয়। তাহলে হাতিটি কোন রাজ্যের? কোন চোরাশিকারিরা এ কাজ করল? এই সমস্ত প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।