আলিপুরদুয়ার: যাদবপুরে র্যাগিংয়ের জেরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই ফের এ রাজ্য থেকে সামনে এল র্যাগিংয়ের ঘটনা। আলিপুরদুয়ারে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস থেকে সামনে এল এই ঘটনা। যার জেরে চাঞ্চল্য পড়ুয়া মহলে।
ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার বারবিশা জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, গত ৮ আগস্ট রাত্রিবেলা নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করে একাদশ শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র। যদিও পরে অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনায় যুক্ত তিনজন ছাত্রকে সাসপেন্ড করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, একাদশ শ্রেণির একজন ছাত্রের মানিব্যাগ হারিয়ে গিয়েছিল। পরে আবার তা উদ্ধারও হয়। অভিযোগ,সেই ঘটনার থেকে শুরু হয় নবম শ্রেণির এক ছাত্রের উপর নানাভাবে অত্যাচার। র্যাগিং হওয়া এক পড়ুয়া বলেন, “আমাদের নবম শ্রেণিকে ডেকে পাঠাল এগারো-বারো ক্লাসের দাদারা। কয়েকটি কথা বলার জন্য ডাকে তারা। ওরা আমাদের বলছিল আমরা নাকি চুরি করেছি। সেই ঘটনায় আমার উপর অত্যাচার করে। ওরা মারধর করে, চামচ দিয়ে বালতিতে জল ভরায়, নিচের থেকে জল নিয়ে এসে চার তলার বালতি ভরা, শরীর ম্যাসাজ করাতো, পাখা বন্ধ করে হাওয়া দিত বলত।”
ঘটনার বারো দিন পর র্যাগিং ঠেকাতে রবিবার দুপুরে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকের সঙ্গে বৈঠক করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই বৈঠকে অভিভাবকের তরফে স্কুল এবং হোস্টেলের ছাত্রাবাসে সিসি ক্যামেরা লাগানোর দাবি রাখা হয়। এছাড়াও র্যাগিং নিয়ে সচেতনতা প্রচার, প্রতি মাসে ছাত্র ছাত্রির অভিভাবক মিটিং ইত্যাদি দাবি রাখেন আভিভাবকরা।
এছাড়াও ৮ তারিখের র্যাগিং এর ঘটনা নিয়ে পর্যালোচনাও করা হয়। কিন্তু বৈঠক শেষে নির্যাতিত ছাত্রের অভিভাবক সহ সকলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কারণ আগে থেকেই এই স্কুলে ‘আন্টি র্যাগি স্কোয়্যাড’ থাকার পরেও কেন এমন ঘটনা ঘটল।