আলিপুরদুয়ার: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন উত্তাপ বাড়ছে আলিপুরদুয়ারের রাজনৈতিক মহলে। অভিযোগ, বোর্ড গঠনের আগে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে এমন পঞ্চায়েতগুলির বিজেপির (BJP) প্রার্থীদের কাছেও আসছে লাগাতার হুমকি। দলবদলও করতে বলা হচ্ছে অনেককে। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূলর কংগ্রেসের দিকে। প্রাণভয়ে বর্তমানে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে গোপন আস্তানায়।
বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীরা আবার মন্ত্রী জন বার্লার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের পাতলাখাওয়া, চকোয়াক্ষেতি ও কাঁঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করেছে। অভিযোগ, এই পঞ্চায়েতগুলির অনেক জয়ী প্রার্থীই বর্তমানে এলাকা ছেড়ে রয়েছেন গোপন আস্তানায়। অন্যদিকে কুমারগ্রামের এনকেএস ও কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা আলিপুরদুয়ারে বিজেপির দলীয় দফতরে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারের ৫৫ টি গ্রামপঞ্চায়েত তৃণমূল দখল করেছে। ৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে বিজেপির দখলে। বাকি বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশংকু। কুমারগ্রামের পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থী ললিত দাস বলেন, “আমাদের ভয়া দেখাচ্ছে। মিথ্যা কেসও দেওয়া হচ্ছে। আমাকেই মিথ্যা কেসে ফাঁসানো হয়েছে। সাতদিন জেলও খেটেছি। তাই আগামী ১৪ তারিখ বোর্ড গঠনের আগে পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছি। পুরো প্রক্রিয়া যাতে ভাল করে হয়ে যায় তা দেখার জন্য জেলা শাসককে চিঠি দিয়েছি। চিঠি দিয়েছি পুলিশ সুপারকেও।”
একই অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞারও। বলেন, “জয়ী প্রার্থীদের উপর খুবই অত্যাচার চলছে। নানা লোভ দেখানো হচ্ছে। কাজ না হলেও দেওয়া হচ্ছে হুমকি। পুলিশকে কাজে লাগিয়ে শাসকদলই এসব করছে। তাই আমাদের দলীয় প্রার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ওদের পার্টি অফিসে রাখা হয়েছে।”
যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে জেলার তৃণমূল নেতা ভাস্কর মজুমদার। তিনি বলছেন, “আসলে বিজেপি নিজেদের প্রার্থীদের উপরেই বিশ্বাস করতে পারছে। তাই এসব করছে। উল্টে আমাদের উপর দোষ দিচ্ছে। আমরা তো ৫৫, ওরা তো ৪। আর পঞ্চায়েতগুলিতে ত্রিশঙ্কু রয়েছে সেখানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই বোর্ড গঠন হবে।”