কালচিনি: লোকসভার টার্গেট আগেই তৈরি করে নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। আর এবার কালচিনিতে পঞ্চায়েতের প্রচারে গিয়ে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের টার্গেটও জানিয়ে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। জানিয়ে দিলেন, আগামী নির্বাচনে ১৪৮ আসন পাবে বিজেপি। বাংলায় ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’ তৈরি নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু। উল্লেখ্য, বাংলার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ম্যাজিক ফিগার হল ১৪৮। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তুলনামূলক ভাল ফল করলেও, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার আক্ষেপও শোনা গেল তাঁর গলায়। শুভেন্দুর দাবি, সরকার ও দলকে এক করে দেওয়ার যে কাজ সিপিএম আমলে শুরু হয়েছিল, সেই ট্র্যাডিশন বর্তমান তৃণমূল সরকারও চালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, এই ট্রেন্ড বন্ধ করবে বিজেপি। বললেন, ‘কালচিনির মানুষ আগেই তা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু ১৪৮ আসন হয়নি। পরের ভোটে ১৪৮ আসন হবে।’
গত নির্বাচনগুলিতে উত্তরবঙ্গে পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করেছে বিজেপি। উনিশের লোকসভা ভোট হোক, কিংবা একুশের বিধানসভা ভোট… উত্তরের জেলাগুলিতে যথেষ্ট সফল পদ্ম শিবির। উত্তরবঙ্গ থেকে দুইজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও পেয়েছে বাংলা। তাঁদের মধ্যে একজন জন বার্লা। সেই কথাও এদিন স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু। উনিশের লোকসভায়, একুশের বিধানসভায় বিজেপির সাফল্যের কথা উল্লেখ করে শুভেন্দুর আবেদন, এবার যেন পঞ্চায়েতেও বিজেপিকে জেতানো হয়। বাংলায় বিরোধী দলের সাংসদ, বিধায়কদের ঠিকঠাক কাজ করতে দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর।
বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্যের কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে শাসক-বিরোধী সব দলের বিধায়কদের ডাকা হয়। সব রাজ্যে এটাই পরম্পরা। কিন্তু শুধু বাংলার ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। প্রতিবেশী অসমে, কিংবা যোগীর উত্তর প্রদেশে যেভাবে উন্নয়ন হয়, আগামী দিনে বাংলাতেও বিজেপির সরকারের হাত ধরে সেই ভাবে উন্নয়ন হবে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার।