বাঁকুড়া: রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দিনের পর দিন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকেন স্কুলে। ফলে ব্যহত হচ্ছে পঠন পাঠন। প্রতিবাদে বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বাদুলাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছড়ে পড়ল অভিভাবকদের বিক্ষোভ। অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বাঁকুড়ার বাইরে আছেন। তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি পদে রয়েছেন বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বাদুলাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের-সহ শিক্ষক তফিকুর রহমান। অভিযোগ রাজনৈতিক সেই প্রভাব খাটিয়ে তফিকুর দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকছেন স্কুলে। বাদুলাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ২৬৬ জন। পঠন পাঠনের জন্য ওই স্কুলে নিযুক্ত আছেন তফিকুর-সহ আট জন শিক্ষক। এর মধ্যে তফিকুর প্রায়শই স্কুলে গরহাজির থাকায় সমস্যায় পড়ছে স্কুলের পড়ুয়ারা।
দিনের পর দিন এই পরিস্থিতি চলার পর শুক্রবার বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। অভিভাবকরা স্কুলে স্কুলগেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, এর আগে তাঁরা একাধিকবার তফিকুর রহমানকে স্কুলে অনুপস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়েছেন। তিনি তাঁদের স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর কেউ কিছু করতে পারবে না।
অভিভাবকদের দাবি, এভাবে দিনের পর দিন ওই শিক্ষক স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তফিকুরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন।
তাঁর দাবি, এব্যাপারে তফিকুরকে বলতে গেলেই তফিকুর তাঁকে জানিয়েছেন সব ম্যানেজ হয়ে যাবে। স্কুলে এদিন তফিকুরের দেখা মেলেনি। টেলিফোনে তফিকুর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, গ্রামের মানুষের কোনও অভিযোগ থাকলে তা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হবে।