বাঁকুড়া: ফল ঘোষণার পরে জঙ্গল থেকে উদ্ধার ভোটের ব্যালট। তাতে আদালত তলব করে বিডিও ও মহকুমা শাসককে। হাজিরার আগেই তড়িঘড়ি বড়জোড়ার বিডিও-কে বদলির নির্দেশ ঘিরে প্রশ্ন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর জঙ্গল থেকে ব্যালট উদ্ধারের মামলায় বুধবারই বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বিডিও সুরজিৎ পণ্ডিত ও বাঁকুড়া সদরের মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্তকে তলব করেছে আদালত। আর তার ঠিক আগের দিন বড়জোড়ার বিডিওকে বদলিকে ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও আদালতের মামলার সঙ্গে এই বদলির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য মেলেনি।
সদ্য শেষ হওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের ৩৫ নম্বর আসনে জয়ী হন তৃনমূল প্রার্থী টিঙ্কু মণ্ডল। নির্বাচনের গননার পরে গননাকেন্দ্র বড়জোড়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন জঙ্গল থেকে ২৪৮ টি ব্যালট উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৩৫ নম্বর আসনের সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী রায়।
আদালত এই মামলায় তলব করে বড়জোড়ার বিডিও সুরজিৎ পণ্ডিত, বাঁকুড়া সদরের মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্ত ও একজন প্রিসাইডিং অফিসারকে। আদালতের তলবের আগের দিনই নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের আরও বেশ কয়েকজন বিডিও র পাশাপাশি বদলি করা হয় বড়জোড়ার বিডিও সুরজিৎ পণ্ডিতকে। এই দুটি ঘটনা নেহাতই কাকতালীয় নাকি দুটি ঘটনার মধ্যে যোগ রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আদালতে মামলাকারী শ্যামলী রায় বিডিও বদলির ঘটনাকে সেভাবে গুরুত্ব না দিয়ে ব্যালট কারচুপির ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
সিপিএমও বিডিও বদলির ঘটনাকে তেমন আমল দিতে নারাজ। তৃণমূল অবশ্য বিডিও বদলির ঘটনাকে রুটিন বদলি হিসাবেই দাবি করেছে। ব্যালট উদ্ধারের বিষয়টি আদালতের মামলাধীন থাকায় তা নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে কোনওরকম মুখ খুলতে চাননি বড়জোড়ার বদলি হয়ে যাওয়া বিডিও ও বাঁকুড়া সদরের মহকুমা শাসক।