বাঁকুড়া: কিশোরীর চুলের মুঠি ধরে গাড়িতে তুলছে পুলিশ। তাও ছিলেন না কোনও মহিলা পুলিশ কর্মী। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড়। ভালবাসার টানে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসা কিশোরীকে ফের ঘরে ফেরাতে গিয়ে এমনই অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধেই। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, রীতিমতো কিশোরীর চুলের মুঠি ধরে এক পুরুষ পুলিশ কর্মী তাঁর আধিকারিকের গাড়িতে তুলছেন। গত কয়েকদিন ধরে ভিডিয়োটা ঘোরাফেরা করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঝড়ের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়ছে। ঘটনা বাঁকুড়ার কোতুলপুরের। এই ঘটনায় উঠছে সমালোচনার ঝড়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন আগে প্রেমিককে বিয়ে করবে বলে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায় স্থানীয় এক কিশোরী। বুধবার রাতে পরিবারের লোকজন ওই কিশোরীকে কোতুলপুর থানার নেতাজি মোড় এলাকায় দেখতে পান। পরিবারের লোকজন কিশোরীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কোনওভাবেই বাড়ি ফিরতে চায়নি ওই কিশোরী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ট্রাফিক পুলিশ। অভিযোগ সেই সময় ট্রাফিক পুলিশের এক আধিকারিক কিশোরীর চুলের মুঠি ধরে তাকে গাড়িতে তুলে দেয় ।
জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ আধিকারিকের নাম অলকেশ পতি। তিনি জয়পুর কোতুলপুর সাব ট্রাফিক গার্ডের ওসি পদে রয়েছেন। কোনও পুরুষ পুলিশ আধিকারিক কীভাবে একজন কিশোরীকে এভাবে চুলের মুঠি ধরে গাড়িতে তুলতে পারেন, তা নিয়ে রীতিমতো সমালোচনা শুরু হয়েছে নেট মাধ্যমে । সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি নজরে আসতেই সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি।
কিশোরীকে চুলের মুঠি ধরে গাড়িতে তোলার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারির বক্তব্য, ” ওই কিশোরীর সঙ্গে পরিবারের বচসার ঘটনা ঘটেছিল ট্রাফিক গার্ড সংলগ্ন এলাকায়। বচসা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ট্রাফিক গার্ড হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ভিডিয়োতে পুলিশ আধিকারিকের যে আচরণ দেখা যাচ্ছে তা ঠিক নয়। ভিডিয়ো দেখে দ্রুত ওই ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য বিষ্ণুপুরের এসডিপিও-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”