বাঁকুড়া: শীর্ষ নেতৃত্ব বলেছিল নির্দল কাঁটা উপড়েই ফেলবে দল। কোনও গোঁজের স্থান নেই দলে। কিন্তু আদৌ কি শাসকদলে তা হচ্ছে? পঞ্চায়েতের পর এবার পুরসভাতেও ‘ঘরওয়াপসি’। তিন গোঁজ কাউন্সিলরকে দলে ফেরাল তৃণমূল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভায় রীতিমতো শোরগোল। গোঁজ প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়েছিলেন এমন তিন কাউন্সিলরকে দলে বরণ করে নিলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। তৃণমূলে যোগ দিয়ে গোঁজ প্রার্থীরা বলেন, উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হতেই এই যোগদান।
২০২২ সালে পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে অন্য প্রতীকে ভোটে লড়েছিলেন বিষ্ণুপুর পুরসভার ৪, ৮ ও ১২ নম্বরের প্রার্থীরা। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল হিসাবে লড়েন সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, ১২ নম্বরের প্রার্থী ছিলেন হীরালাল দত্ত। সোমবার বিষ্ণুপুর বিধায়ক কার্যালয়ে তন্ময় ঘোষ তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন।
বিধায়কের বক্তব্য, “বিষ্ণুপুরে গত পুরভোটে কংগ্রেসের প্রতীকে লড়েছিলেন শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দল হয়েছিলেন হীরালাল দত্ত ও সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। তাঁরা অনেকদিন ধরেই আবেদন করেছিলেন তৃণমূলে যোগ দিতে চান। মানুষের জন্য কাজ করতে চান। দল চিন্তাভাবনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়।”
৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অজ্ঞাত কারণে আমি সেই সময় টিকিট পাইনি। মানুষ চেয়েছিলেন তাই আমি অন্য প্রতীকে লড়ি। উন্নয়ন করতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই যে এগোতে হবে তা জানি। আমি তৃণমূল করেছি। তাই দলে ফিরলাম।”
৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়েরও একই বক্তব্য। বলেন, “আমি তৃণমূলের কর্মী ছিলাম। টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে লড়াই করি। তবে আমি চিরকালই তৃণমূলের লোকজনের সঙ্গে দল করেছি। আগামিদিনেও তাই করব। তবে ভোটে জিতে আমিও নিজেকে প্রমাণ করলাম। দেখালাম আমি জিতেছি এবং আমি কাজও করছি।” অন্যদিকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হীরালাল দত্ত বলেন, “আমরা সকলেই কংগ্রেস থেকে উঠে আসা। তৃণমূল করতাম, করবও।”