বাঁকুড়া: জেলায় জেলায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন চলছে। সিংহভাগেই বোর্ড গড়ছে শাসকদল। বেশ কিছু জায়গায় পঞ্চায়েত চালাবে বিরোধীরা। বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের বৃন্দাবনপুর গ্রামপঞ্চায়েত। শাসকদলের দাবি, ‘রাম-বাম’ জোটের বোর্ড হয়েছে সেখানে। বামের সমর্থনে বোর্ড গড়েছে বিজেপি। যদিও বিরোধীদের দাবি, এ পঞ্চায়েত জনগণের পঞ্চায়েত হয়েছে। বাঁকুড়ার বৃন্দাবনপুর গ্রামপঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১১টি। এর মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি উভয়পক্ষই ৫টি করে আসনে জিতেছে। ১টি আসনে জয়ী হয় সিপিএমের প্রার্থী। ফলে এই আসনটিই হয়ে ওঠে বৃন্দাবনপুরের ‘নিয়ামক’।
বৃহস্পতিবার এই গ্রামপঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়। সেখানে সিপিএমের একমাত্র পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করেন। ফলে সেখানে সংখ্যাগুরু হয়ে পড়ে বিজেপি। তাতেই সেই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তারা। বিজেপির দাবি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির প্রতিবাদে বৃন্দাবনপুরে জনগণের বোর্ড হয়েছে। একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের গলাতেও।
গ্রামপঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান মনসারাম বাউরি বলেন, “মানুষের রায়ে আমরা বোর্ড গড়লাম।” অন্যদিকে সিপিএমের জয়ী সদস্য পরেশ লোহারের বক্তব্য, “সিপিএমে ছিলাম, সিপিএমে থাকব। দুর্নীতিবাজদের তাড়াতে জনগণের বোর্ড গঠন হয়েছে। এখানে কোনও দলকে সমর্থনের কিছু নেই। মানুষের বোর্ডকে সমর্থন করেছি।”
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা এখানে বিজেপি-বামের আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “রাম বামের যে জোট ২০১৯-এর আগে থেকে চলছে। আজ তার একটা বহিঃপ্রকাশ দেখলাম বৃন্দাবনপুরে। আজ প্রকাশ্যে সিপিএমের সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করেছে। এতদিন লুকিয়ে খেলছিল, আজ প্রকাশ্যে খেলল। তবে এ জোট মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না।” তবে এ তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপি নেতা স্বরূপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বৃন্দাবনপুরের মানুষের সমর্থনে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে ভোট হয়েছে। এখানে রাম, বাম বলে কিছু নেই। বৃন্দাবনপুরের মানুষের জয় হয়েছে।”