বাঁকুড়া: সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষা হল এমন একটি বিষয়, যা কেন্দ্র-রাজ্য সম্মতিক্রমেই চালাতে হয়। তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে আহ্বান জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, তাঁরা একসঙ্গে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন, তাঁদের বোঝাবেন। কোথায় কোথায় খামতি আছে, সেটাও একসঙ্গে খুঁজে বের করতে আহ্বান জানিয়েছেন ব্রাত্য বসুকে। তবে ছাত্র মৃত্যুর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া উত্তরে যে ইউজিসি সন্তুষ্ট নয়, সে কথা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন সুভাষ সরকার। তাঁর দাবি, যা জানতে চাওয়া হয়েছিল, তার সব উত্তর দেওয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুভাষ সরকার বলেন, “শিক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। তবে কোনও ব্যবস্থা কার্যকর করাটা রাজ্য সরকারের দায়।” শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উদ্দেশে বলেন, “চলুন একসঙ্গে যাই। একসঙ্গে সব শুনব, ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলব। আমরা ভাল কাজের জন্য যাব। পরিস্থিতি কীভাবে ভাল হবে, সুস্থ হবে, তা দেখার জন্য যাব।”
যাদবপুরের হস্টেলে কীভাবে দিনের পর দিন প্রাক্তন পড়ুয়ারা থাকতেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সুভাষ সরকার। তাঁর দাবি, হস্টেলের আবাসিকদের এমনই দাপট ছিল, যার কাছে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনই নয়, মাথানত করত রাজ্য প্রশাসনও। তবে পরবর্তীতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ক্যাম্পাসের ভিতর পুলিশ কিয়স্ক বসানোর কথা বলেছেন তিনি।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি উত্তরে আদৌ সন্তুষ্ট হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। মেন হোস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল ইউজিসি। উত্তরও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পাঠানো রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ছাত্রের মৃত্যুর পর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী ব্যবস্থা এতদিন ছিল, সে ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই। সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, জবাবি চিঠি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে আবারও তথ্য তলব করতে পারে ইউজিসি। সব তথ্য খতিয়ে দেখার পরই ইউজিসির প্রতিনিধিদল যেতে পারে যাদবপুরে।