বাঁকুড়া: এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দলই। তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বহু পঞ্চায়েতেই জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। ত্রিশঙ্কু হয়ে রয়েছে শতাধিক পঞ্চায়েত। তৈরি হচ্ছে না বোর্ড। এদিকে এগিয়ে আসছে সময়। ১৬ অগস্ট। তার মধ্যেই তৈরি করে ফেলতে হবে বোর্ড। এরইমধ্যে অভিযোগ উঠছে, রাজ্যে নানা প্রান্তে টাকার বিনিময়ে অন্য দল ও নির্দলের জয়ী প্রার্থীদের কেনার চেষ্টা করেছে শাসকদল। বিরোধী শিবির ও নির্দলদের দলের টানার চেষ্টা চলেছে বাঁকুড়াতেও। ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগদানের হিড়িক শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। শুক্রবার ত্রিশঙ্কু অবস্থায় থাকা কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এক নির্দল প্রার্থী ও শ্যামসুন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এক সিপিএম প্রার্থী যোগদান করলেন তৃণমূলে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই সব ঘটনাকে কেন্দ্র করেই জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর শোরগোল।
বিরোধীদের অভিযোগ, গণতন্ত্রকে হত্যা করছে শাসকদল। ভয় দেখিয়ে, টাকার লোভ দেখিয়ে দলে টেনে নেওয়া হচ্ছে বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের। প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল বলছে, বাঁকুড়া জেলার ১৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে ১৬১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল গিয়েছে তৃণমূলের হাতে। কিন্তু, ১৮টা গ্রাম পঞ্চায়েতের ছবিটা আলাদা। সেখানে এককভাবে কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তৈরি হয়েছে ত্রিশঙ্কু অবস্থা। বর্তমানে এই পঞ্চায়েতগুলিতেই বোর্ড গঠনে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসকদল।
শুক্রবার বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী নির্দল প্রার্থী দীনেশ ভুঁই ও রাইপুর ব্লকের শামসুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী সিপিএম প্রার্থী প্রসাদ নামহাতা যোগ দেন তৃণমূলে। তৃণমূল ভবনে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র। ফলে ১৪ আসনের শ্যামসুন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত চলে গেল তৃণমূলের দখলে। একই ছবি কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। জয়ী এক নির্দল প্রার্থী সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেখানেও বোর্ড গঠন করতে চলেছে তৃণমূল।