বাঁকুড়া: এবার নির্দলের সমর্থন নিয়ে বাঁকুড়ায় খাতা খুলল সিপিএম। বাঁকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাতনা ব্লকের মেট্যালা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল নিল লাল শিবির। উড়ল লাল আবির। মূলত, মেট্যালা গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিএম এর গড় হিসাবে পরিচিত। ২০১৮ থেকে ২০২৩, এই প্রায় পাঁচ বছর বাদ দিলে ১৯৭৭ সাল থেকে বরাবরই এই পঞ্চায়েত ছিল সিপিএম-এর দখলে।
২০১৮ পঞ্চায়েত ভোটের সময় মনোনয়ন জমা দিতে না পারার অভিযোগ তোলে সিপিএম। বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় পঞ্চায়েতটি দখল করে শাসকদল। তবে পাঁচ বছর যেতে না যেতেই ফের সেই পঞ্চায়েত ফিরল বামেদের হাতে।
সদ্য শেষ হওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার ১৯০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে গেলেও বামেরা কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। আসন প্রাপ্তির ভিত্তিতেও বামেদের আসন সংখ্যা ছিল বেশ কম। স্বাভাবিক ভাবেই বামেরা একপ্রকার আশা ছেড়েই দিয়েছিল।কিন্তু মুখরক্ষা করল ছাতনা ব্লকের মেট্যালা গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ টি আসনের মধ্যে ৬ আসনে জয় পেয়েছিল সিপিএম। তৃণমূল ৫, বিজেপি ২ ও নির্দল ১ আসনে জয় পায়।
শুক্রবার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিল বোর্ড গঠন। বিজেপি ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি। অন্যদিকে নির্দল প্রার্থী সিপিএমকে সমর্থন করায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের সমর্থন পেয়ে বোর্ড গঠন করে সিপিএম।
সিপিএম-এর দাবি এই জয় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জয়, এলাকার মানুষের জয়। আগামী দিনে এলাকার উন্নয়নই একমাত্র লক্ষ হবে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত প্রধান ও উপপ্রধান। নব নির্বাচিত প্রধান পূজা মাল বলেন, “প্রধান হয়ে ভাল লাগছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের পাশে থাকতে চাই। দুর্নীতির প্রতিবাদে লড়তে চাই।”। অপরদিকে, নব নির্বাচিত উপপ্রধান সুধাংশু লায়েক বলেন, “জনগণের রায়ে বোর্ড গঠন করেছি। মানুষকে নিয়ে চলব। তৃণমূলের অন্যায়ের প্রতিবাদে মানুষ এই রায় দিয়েছে। সিপিএম আমাদের ভালবাসে। তাই সিপিএম-এর কাছে এসেছি।”