বাঁকুড়া: বোর্ড গঠনের আগে দলবদল। বোর্ড গঠনের পর আবার ভোলবদল। এককথায় ঘর ওয়াপসি কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীর। বাঁকুড়ার কেঞ্চাকুড়া পঞ্চায়েতের ঘটনা। চাপে পড়েই দল পাল্টে ছিলেন দাবি শঙ্খু চন্দের।
বাঁকুড়া ১৯০ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৮ গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্খু হয়। এর মধ্যে অন্যতম কেঞ্চাকুড়া। এর ২১ আসনের মধ্যে ১০টি জিতেছিল তৃণমূল, ৬ আসন পায় বিজেপি, ২ আসন পায় সিপিএম ও নির্দল, ১ আসন পায় কংগ্রেস প্রার্থী সন্টু চন্দ।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সন্টু চন্দ যোগদান করেন তৃণমূলে। এরপর বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন হয়। সেখানে দায়িত্বশীল প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন সন্টু। তিনি উপপ্রধান পদ পান। অভিযোগ, যেহেতু কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন সেই কারণে পুরস্কার হিসাবে এই পদ দেওয়া হয়।
কিন্তু পদ পাওয়ার পরেরদিনই ভোলবদল। শুক্রবার সন্ধ্যে বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে এসে ফের কংগ্রেসে যোগদান করেন। এরপরই বিরোধীদের প্রশ্ন সন্টুকে যে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল তাতে তিনি সন্তুষ্ট নন। সেই কারণে ফের তিনি কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন।
এই বিষয়ে সন্টু বলেন, “আমার কোনও চাওয়া পাওয়া নেই। আমি কংগ্রেসকে ভালবাসি। তাই ফিরে এসেছি।” তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, “সন্তু চন্দকে মানুষ বেছে নিয়েছিলেন। তাই আমি বলব মানুষের সিদ্ধান্তকেই তিনি সম্মান করে ফিরে এলেন।”