দুবরাজপুর: পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পেয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক তৃণমূল নেতা-কর্মী লড়েছিলেন নির্দল হয়ে। তাঁদের মধ্যে জয়ীও হয়েছেন অনেকেই। টিকিট না পেয়ে নির্দল যাঁরা হয়েছিলেন তাঁদের দলে ফেরানো হবে না বলে নির্বাচনের আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ভোট মিটতেই উল্টো ছবি দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। রবিবার বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে ১০০টি নির্দল পরিবার ফের তৃণমূলে যোগ দিল। ভোটের আগে এই পরিবারগুলি তৃণমূলেই ছিল বলে জানা গিয়েছে। এ দিন তাঁদের হাতে ঘাসফুল পতাকা তুলে দেন বীরভূমের জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুবরাজপুর ব্লক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রফিউল খান ও ব্লক নেতৃত্ব।
তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে পঞ্চায়েত ভোটে লড়েছিলেন শেখ সুকুর। তিনি দুবরাজপুর ব্লকের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর সংসদের নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন। ভোটে জয়লাভও করেছেন তিনি। তার পরই যোগ দিলেন তৃণমূলে। এই যোগদানের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আমরা তৃণমূলেই করে এসেছি। কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে চলে এসেছিলাম। গ্রামের মানুষ আমাদের জিতিয়েছে। কিন্তু আমরা ফের তৃণমূলে এসেছি। গ্রামের মানুষও তাই চাইছে। আমরা দিদির উন্নয়নে সামিল হতে চাই।”
এ প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ৭ জন, বিজেপির ৬ জন এবং এক জন নির্দল সদস্য ছিল। নির্দল যিনি জিতেছেন তিনি তৃণমূলেই ছিলেন। নির্বাচনের সময় অন্য দলের সহায়তায় জিতেছেন। কিন্তু এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। গোটা গ্রাম তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন করেছিল। আমরা তা মঞ্জুর করেছি। প্রায় ১০০টি পরিবার যোগ দিয়েছে।” দলত্যাগী নির্দলদের পুনরায় দলে ফেরানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসা করেছেন তাঁদের দলে নেওয়া হবে না। এরা দল ছাড়লেও দলবিরোধী কাজ করেনি।”