মহম্মদবাজার: বাবার কাছে সাত সকালে এল ফোন। জানানো হল, মেয়ে আর নেই। তা শুনেই আঁতকে উঠল পরিবার। জলজ্যান্ত মেয়েটার হঠাৎ কী হল ঠাউর করতে পারলেন না তাঁরা। বীরভূমের রামপুরহাটের ঘটনা। মৃতের নাম জুলি খাতুন। তাঁর বাড়ি বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার তেঁতুলিয়া গ্রামে।
জানা গিয়েছে, জুলি বিগত চার বছর ধরে রামপুর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন তিনি। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফোন আসে। জানানো হয় তাঁদের মেয়ে মৃত। খবর পেয়ে পৌঁছে যান রামপুরহাটে।
মৃতার বাবা শেখ মনির বলেন, “আজ বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ মেয়ে যে বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করত, ওই খান থেকে ফোন আসে। জুলির মৃত্যুর খবর ফোন করে জানানো হয়। খবর পেয়ে আমরা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যাই। এসে দেখি মেয়ের মৃতদেহ সাদা কাপড়ে ঢাকা দিয়ে রাখা হয়েছে।” শেখ মনিরের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, গতকাল রাত্রিবেলাই মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অথচ আজ বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ তাদের মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়েছে। মৃতের বাবা বলেন, “আমার মেয়েকে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।” বিষয়টি জানিয়ে রামপুরহাট থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।