মহম্মদবাজার: ভরসন্ধেয় বীরভূমের মহম্মদবাজারে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ এক ক্রাশার মালিক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত ব্যক্তির নাম তাপস দাস (৩২)। বাড়ি বীরভূমের কাপিষ্ঠার কেন্দ্রসড়াই গ্রামে। সোমবার সন্ধেয় বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর উপর হামলা হয়। কেউ বা কারা ওই ক্রাশার মালিককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয়। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার ধারে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। রক্তে মাখামাখি গোটা শরীর। দীর্ঘক্ষণ রাস্তার ধারে ওইভাবেই পড়ে ছিল ক্রাশার মালিকের দেহ। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায়। কে বা কারা হামলা চালাল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শরীরে ক’টি গুলি লেগেছে, সেটিও এখনও জানা যায়নি। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ক্রাশার মালিকের উপর হামলার পর তাঁর দেহ প্রায় আধঘণ্টা ধরে পড়েছিল রাস্তার ধারে। পরে পথচারীরা ওই ব্যক্তির দেহ রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখে খবর দেন থানায়। মৃতের পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। দেখতে পান রাস্তার ধারে মাঠের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তাপস দাসের দেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির একাধিক পাথরের ক্রাশার রয়েছে।
কী কারণে গুলি চলল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। ব্যবসায়িক কোনও শত্রুতা কিংবা কারও কোনও পুরনো আক্রোশ ছিল কি না, সেই সব দিকগুলি খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশ কিছু মন্তব্য করতে চায়নি।
এদিকে তাপসবাবুর মৃত্যুর পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। মৃতের ভাই উজ্জ্বল দাসের দাবি, শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। দুটি ঘাড়ে, একটি পেটে। তবে কী কারণে কারা গুলি চালাল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না ক্রাশার মালিকের ভাই। মৃতের প্রতিবেশীরাও বলছেন, কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলার মধ্যে থাকতেন না ওই ব্যক্তি।