মুরারই: সকাল থেকেই বীরভূমের মুরারই স্টেশনে চলছে বিক্ষোভ। স্টপেজের দাবিতে পথে নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য করোনাকাল থেকে বহু ট্রেন মুরারই স্টেশনে দাঁড়াচ্ছে না। সেই কারণে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে জনগণকে। সেই নিয়ে রবিবার সকাল থেকেই চলছিল বিক্ষোভ। এ দিকে, বিক্ষোভ চলাকালীন মুরারই রেল স্টেশনের প্যানেল রুমের দ্বায়িত্বে থাকা কর্মরত রেল কর্মীকে বের করে দওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেত্রী বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তের নাম ফাল্গুনি সিনহা। তিনি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুরারই ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্য। জানা গিয়েছে, রেল অবরোধের সময় প্যানেল অপারেটিং-এর দায়িত্বে ছিলেন রেল কর্মী অনন্ত সহ। তিনি ট্রেনের যাতায়াতের নজরদারিতে ছিলেন।
এ দিন বিক্ষোভ চলাকালীন অবরোধকারীদের সঙ্গে নিয়ে প্যানেলের কন্ট্রোল রুমে প্রবেশ করেন ফাল্গুনি। এরপর প্যানেল অপারেটর অনন্তবাবুকে চেয়ার থেকে তুলে বাইরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যাত্রী নিরাপত্তার। কারণ, মুরারই স্টেশনের আগে ও পরে আসা ট্রেনগুলির উপর নজরদারি রাখা খুব জরুরি। সেই গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্বে থাকা রেলকর্মী বের করে দেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে প্রশ্ন।
এই নিয়ে ফাল্গুনি সিনহার বক্তব্য, আন্দোলন যাতে সফল হয় সেই কারণে ওনাকে বের করে দেওয়া হয়েছে।অনন্ত শ বলেন, “অবরোধের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের বিভিন্ন অফিশিয়াল ফোরাম রয়েছে। সেই ফোরামে ওরা গিয়ে অভিযোগ জানাতেই পারে। আমরা ওনারা যাতে সাধারণ মানুষকে অসুবিধার মধ্যে না ফেলেন।” ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “ভারতের রেলওয়েকে নষ্ট করার জন্য তৃণমূল এই কাণ্ড করছেন। ওদের দাবি-দাওয়া থাকতেই পারে। রেল অবরোধ করে তো লাভ নেই। প্যানেল রুম থেকে যেভাবে একজন কর্মীকে বের করে দেওয়া হল তাতে যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত। আর এই কাজের জন্য ওই নেত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী থাকবে।”