শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে। অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনা ওই ফেসবুক পোস্টের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তার পর থেকেই অবস্থানে বসেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ অন্য অধ্যাপকরা। বুধবার সেই অবস্থান নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে বিশ্বভারতীকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। তারই প্রতিবাদে এই অবস্থান বিক্ষোভ বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মৃত্যুর পর র্যাগিংয়ের বিষয়টি নিয়েও বিশ্বভারতীর কঠোর অবস্থানের কথাও এদিন শোনা গিয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর গলায়।
অবস্থান বিক্ষোভের প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্ট করা হয়েছে সেটা মিথ্যা। প্রেম ঘটিত একটি কারণে এই ধরনের কাজ করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি এবং কোনও অপরাধ হলে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। বিশ্বভারতীকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে তারই প্রতিবাদে আমাদের এই অবস্থান। পুলিশ বিশ্বভারতীর নামে কোনও অভিযোগ পেলেই সেটাতে এফআইআর করছে এবং তদন্ত শুরু করছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করছে পুলিশ। আমরা পুলিশকে এই মর্মে চিঠি করেছি যাতে পুলিশ এই ধরনের কাজ না করে। বিশ্বভারতীকে যারা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। বিশ্বভারতীকে রক্ষা করার জন্য আমরা এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগেও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী।”
র্যাগিং রুখতে বিশ্বভারতীর পদক্ষেপের বিষয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছেন, “যাদবপুরে সিসিটিভি পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। কিন্তু আমাদের এখানে সমস্ত জায়গায় সিসিটিভি লাগানো আছে। র্যাগিংয়ের শিকার যাতে কেউ না হয় তার জন্য রীতিমতো মনিটরিং করা হয় বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে। প্রত্যেক দিন রাতে হোস্টেলে গিয়ে তদন্ত করে দেখা হয় বহিরাগত কেউ রয়েছে কি না, ছাত্ররা বা ছাত্রীরা সুশৃঙ্খলভাবে রয়েছে কি না। যাদবপুরের ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। নৃশংসভাবে র্যাগিং আগে করা হত না। আমি বহু জায়গায় পড়াশোনা করেছি। আমাদের সময় খেলার ছলে মিষ্টি র্যাগিং হত।”