শীতলকুচি: হাড় হিম করা এক ঘটনার সাক্ষী থাকল কোচবিহারের মাথাভাঙা হাসপাতাল। কোলে এক ছোট্ট শিশুকে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে ছোটাছুটি করছেন দিদা। চার মাসের ছোট্ট মেয়ে। গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত। অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদের জেরে ছোট্ট ওই কন্যা সন্তানের গলার ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে শিশুটির মা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচি থানা এলাকার সাঙ্গারবাড়ি এলাকায়। আহত শিশুটিকে নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি মাথাভাঙা হাসপাতালে ছুটে আসেন তাঁর দিদা। কিন্তু শিশুটির আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে সেখান থেকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার মাথাভাঙা হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। কোলে ছোট্ট নাতনিকে নিয়ে হাসপাতালের এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন দিদা। প্রৌঢ়া কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, ‘বেটি গলা কেটে দিয়েছে নাতনির। শেষ করে দিয়েছে।’ স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলাকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি ওই প্রৌঢ়ার। মাথাভাঙা হাসপাতাল চত্বরে দিগভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি করতে থাকেন তিনি। চোখে মুখে একরাশ আতঙ্ক। কী এমন ঘটনা ঘটল, যার জেরে এমন কাণ্ড ঘটল, সেই বিষয়টি অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত ওই ছোট্ট শিশুকন্যা কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে শিশুদের উপর একের পর এক অত্যাচারের অভিযোগ উঠে এসেছে। যেমন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে গত সপ্তাহে এক ছোট্ট শিশুকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। ২ লাখ টাকায় ওই মহিলা নিজের সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর এবার কোচবিহারে নিজের সন্তানেরই গলা কাটার চেষ্টার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। পর পর এমন ঘটনা ঘটতে থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।