কোচবিহার: বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থীকে গ্রেফতারির ঘটনায় জোর শোরগোল কোচবিহারে। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগে তৃণমূলকে (Trinamool Congress) সুবিধা করে দেবার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, এবারের ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় মেখলিগঞ্জের হলদিবাড়ির পারমেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় পড়ে রয়েছে।। ১৪ আসনের এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির দখলে যায় ৭ আসন, তৃণমূলের খাতায় ৬ আসন ও ফরওয়ার্ড ব্লক একটি আসন পায়। যদিও পরে আবার ফরওয়ার্ড ব্লকের জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেয়। ফলে খাতায়কলমে তৃণমূল-বিজেপি দুজনের হাতেই থাকে সাতটি করে আসন।
এরইমধ্যে সোমবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় বিজেপির নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য রমনাথ বর্মনকে। মঙ্গলবার তাঁকে মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। যা নিয়েই জেলার রাজনৈতিক চলছে জোর চর্চা। বিজেপির অভিযোগ, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে এই কাজ করছে পুলি।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে সামনে ব্যাপক ঝামেলা হয়। হলদিবাড়ি পুলিশ সূত্রে খবর, এ ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয় পুলিশের তরফে। তাতেই নাম ছিল এলাকার বেশ কয়েকজনের। তালিকায় ছিল রমনাথ বর্মনের নামও। সে কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ পদ্ম শিবির।
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক দধীরাম রায়ের দাবি, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। সাফ বলছেন, “তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই মিথ্যা মামলা করে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সহযোগিতা করছে পুলিশ।”