মেখলিগঞ্জ: বোর্ড গঠনের এক দিন আগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বিজেপির সেই জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যই হয়ে গেলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন গণনাকেন্দ্রের সামনে ঝামেলা করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি (BJP) নেতা রমানাথ বর্মনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগেই সোমবার গভীর তাঁকে গ্রেফতার করে হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। এদিকে সদস্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতে যান রমানাথ বর্মন। বিজেপির অভিযোগ, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে রমানাথকে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর শোরগোলও হয়। তিনিই এবার হয়ে গেলেন প্রধান।
সূত্রের খবর, শাসক ও বিজেপির সমান সমান পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার টসের মাধ্যমে জিতে প্রধান হয়েছেন বিজেপির রমানাথ বর্মন। বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। উপপ্রধান হয়েছেন ডলি রায়। এদিকে গ্রেফতারির পর পুলিশ রমানাথকে আদালতে তুললে মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়ে যান। অংশ নেন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায়।
প্রসঙ্গত, মেখলিগঞ্জের হলদিবাড়ি ব্লকের পার মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৪। ভোটের ফলে দেখা যায় বিজেপি জিতেছে ৭ আসন, তৃণমূল জেতে ৬ আসান, ফরওয়ার্ড ব্লক জেতে একটি আসন। যদিও পরবর্তীতে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূল ও বিজেপির ক্ষমতা সমান সমান হয়ে যায়। সে কারণেই রমানাথের গ্রেফতারির পর বিজেপির অভিযোগ ছিল, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে রমানাথকে। এদিকে ঘাসফুল ও পদ্ম শিবিরের ক্ষমতা সমান হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় টসেই ঠিক হবে প্রধান। সেই টসে জিতে পঞ্চায়েতের প্রধান হয়ে যান রমানাথ।