Panchayat Election: ‘টাকার জন্য পতাকা লাগাতে গিয়েছিল’, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বললেন গুলিতে নিহত যুবকের মা

Suman Kalyan Bhadra | Edited By: tannistha bhandari

Jul 19, 2023 | 6:33 PM

Panchayat Election: ঘাসফুলের পতাকার সঙ্গে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে তাঁকে তৃণমূলের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছিল।

Panchayat Election: টাকার জন্য পতাকা লাগাতে গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বললেন গুলিতে নিহত যুবকের মা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কোচবিহার: ‘কোনও দলের কর্মী নয়, আমার ছেলে টাকার বিনিময়ে পতাকা লাগাতে গিয়েছিল’, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাড়িতে আসতে এমনটাই বললেন দিনহাটার মৃত যুবকের মা। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিন দিনহাটা ভিলেজ ওয়ানে ভোটের লাইনে চিরঞ্জিৎ কার্জী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর যুবকের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই তাঁদের দলের সদস্য বলে দাবি করে। বুধবার সেই মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।

এদিন মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে যুবকের মা বলেন, ‘আমার ছেলে কোনওদিনই রাজনীতি করে না। শুধু টাকার জন্য পতাকা লাগাতে গিয়েছিল। আর সেখানেই কেউ বা কারা তাঁর ছবি তুলে নিয়েছে।’ তিনি আরও জানান যেহেতু তেমন কোনও কাজ পাচ্ছিলেন না ওই যুবক, তাই অর্থের বিনিময়ে তৃণমূলের পতাকা লাগাতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। সেই ছবি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে মায়ের আর্জি, তাঁর ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

উল্লেখ্য, চিরঞ্জিতের গুলি লাগার পর তাঁকে যখন দিনহাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে চিরঞ্জিৎ বিজেপির কর্মী। পরবর্তীতে ঘাসফুলের পতাকার সঙ্গে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে তাঁকে তৃণমূলের সদস্য বলে দাবি করা হয়। তবে মৃত্যুর দিন থেকেই চিরঞ্জিতের মা দাবি করেছিলেন তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও সে কথাই বললেন চিরঞ্জিতের মা।

নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘সবকিছুতে রাজনৈতিক খোঁজা উচিত নয়। ভোট আসে, ভোট যায়। মায়ের কোল ফাঁকা করে যে সন্তান চলে যায়, তাকে তো আর ফিরিয়ে দিতে পারব না। আমরা চাই দোষীরা যেন শাস্তি পায়। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।’

Next Article