BJP Worker Death: ভোটের হিংসায় মৃত্যু বাড়ল কোচবিহারে, নিহত আরও ১ বিজেপি কর্মী

Suman Kalyan Bhadra | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 13, 2023 | 5:34 PM

Coochbehar: বুধবারই কোচবিহারের মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরেই তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগের তীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

BJP Worker Death: ভোটের হিংসায় মৃত্যু বাড়ল কোচবিহারে, নিহত আরও ১ বিজেপি কর্মী
বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মন
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কোচবিহার: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মৃত্যু বাড়ল কোচবিহারে (Coochbehar)। ভোটের আগের রাতে রাজনৈতিক হিংসায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী জয়ন্ত বর্মন। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন জয়ন্ত। ভোটের আগের রাতে বক্সিরহাট থানার শালবাড়ি-২ গ্রামপঞ্চায়েতের নয়ারহাট এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম হন উভয় দলের সাতজন। জয়ন্তের জখম গুরুতর হওয়ায় কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। বুধবারই কোচবিহারের মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরেই তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগের তীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

নিহতের পরিবারের দাবি, ভোটের আগের দিন তাঁদের বাড়িতে এসে হুমকি দেওয়া হয় তৃণমূল না করলে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হবে। তৃণমূলের লোকজন বাড়ি থেকে জয়ন্তকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। লাঠি, শাবল, ভোজালি দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। যদিও তৃণমূলের তরফে এখনও কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পঞ্চায়েত ভোটের আবহে বারবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জ উত্তপ্ত হয়েছে। শাসক-বিরোধী, দুই পক্ষেরই কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। বোমাবাজি, রক্ত ঝরেছে ভোটকে কেন্দ্র করে। এমনও অভিযোগ, ভোটের ফলপ্রকাশের পর পরিবার নিয়ে বহু বিজেপি কর্মী অসমের ধুবুরিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

ইতিমধ্যেই ভোটের হিংসার হালহকিকত খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এ রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যায় তারা। তার আগে রাজ্যপালের কাছে যায় তারা। রাজভবন থেকে বাসন্তী, কুলতলি, ডায়মন্ড হারবারে এই দল পরিদর্শন করে। সেখান থেকে শিয়ালদহ ফিরে উত্তরবঙ্গ থেকে কোচবিহারে যাবে তারা।

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “রবিশঙ্কর প্রসাদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ফিরতে মরিয়া। তাই তাঁকে বারবার বার্তা দিতে হবে, তিনি আছেন। এখানে তৃণমূলকে তিনি কিছু বলছেন না। বিজেপির দিল্লির নজরে আসতে চাইছেন। খারাপ বললে নজরে আসবেন।”

Next Article