দিনহাটা: অনেক টালবাহানার পর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার জন্য শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে আসা হয়েছে। সেই বাহিনী এখনও রাজ্য ছাড়েনি। এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কারণে স্কুলের স্বাভাবিক পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন জায়গায়। দু’দিনে আগে কোচবিহারের বক্সিরহাট থানা এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল পড়ুয়ারা। আর এবার কোচবিহারের দিনহাটায় বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য এলাকায় আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে দিনহাটার ভেটাগুড়ির লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হাইস্কুলে। তার জেরে প্রায় ১৮ দিন হতে চলল, স্কুলের পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। এমন অবস্থায় প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। স্কুলের সামনে দিনহাটা-কোচবিহার রাজ্য সড়ক অবরোধ করে ছোট ছোট পড়ুয়ারা।
রাস্তায় বসে স্কুলের দশম শ্রেণির এক বিক্ষুব্ধ পড়ুয়া বলছে, ‘প্রথমে শুনছিলাম ভোটের পর ১৩ তারিখ স্কুল খুলবে। ১৩ তারিখ পেরিয়ে এতদিন হয়ে গেল, এখনও স্কুল খুলছে না। আমাদের সিলেবাস শেষ হওয়া বাকি আছে। আমরা চাই তাড়াতাড়ি স্কুল খুলুক।’ শুধু এই একজন নয়, অবরোধে বসে থাকা সকল পড়ুয়ারই মূল বক্তব্য একটাই। এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায়, সিলেবাস কীভাবে শেষ হবে তা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই তাদের। অপর এক পড়ুয়া বলছে, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অন্য কোনও জায়গাতেও তো থাকার ব্যবস্থা করা যেত। আমাদের স্কুলকেই কেন বেছে নেওয়া হল? আমাদের স্কুল বাদে এলাকার প্রায় সব স্কুলই খোলা আছে।’
কেন্দ্রীয় বাহিনী কতদিন স্কুলে থাকবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশান্তকুমার রায়ও। তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছেন। তবে কবে কেন্দ্রীয় বাহিনী স্কুল ছাড়বে, সেই বিষয়টি পুলিশ বা প্রশাসনের থেকে স্পষ্টভাবে জানতে পারেননি তিনি।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতে নির্বাচন পরবর্তী গোলমালের আশঙ্কা থেকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার ১০ দিন পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকে রাজ্যে। সোমবারও হাইকোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি ছিল। সেখানে অতিরিক্ত সলিসেটর জেনালের আদালতকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের তরফে আরও ১০ দিন বাহিনী রাখা সম্ভব।