বালুরঘাট: খেলছিল বাড়ির সামনে। আচমকা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ২ বছরের শিশুকন্যা। অবশেষে ঘটনার ৪২ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশ থেকেই উদ্ধার হল পচাগলা দেহ। বুধবার সকালে বাড়ির পাশে একটি ডোবার পাশ থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহঃ নাসিম, বালুরঘাট (Balurghat) থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ ঘটনায় চাপা উত্তেজনা গোটা এলাকায়। চলছে পুলিশি টহল। যে জায়গা থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানে কোনওভাবেই শিশুটির যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, খুন করে ওই জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। এই ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের মা সারবানু মণ্ডল।
গত সোমবার বিকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়শ্রী এলাকার বাসিন্দা ২ বছরের আরমিনা খাতুন নিখোঁজ হয়। ওই দিনই বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির মা। শিশুটির খোঁজে এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালায় পুলিশ। আনা হয় পুলিশ কুকুর। বেশ কয়েকটি পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশিও চালানো হয়। অবশেষে বুধবার সকালে শিশুরকন্যার দেহ উদ্ধার হল বাড়ির পাশেই। শিশুটির বাড়ির সামনে থাকা একটি ডোবার পাশ থেকে উদ্ধার হয় দেহটি৷ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পরে আসেন জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহঃ নাসিম সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান অনেক আগেই মারা হয়েছে শিশুটিকে। প্রায় ৪২ ঘন্টা পর দেহ উদ্ধার হওয়ায় শরীরে পচন ধরে গিয়েছে। দেহটি উদ্ধারের পর ইতিমধ্যেই তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।