বালুরঘাট: বালুরঘাটের বিজয়শ্রীতে নিখোঁজ শিশুকে খুন করেই ডোবার ধারে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করেছে বালুরঘাট (Balurghat) থানার পুলিশ। ধৃতের নাম শাবনূর খাতুন বিবি (২৪)। ধৃতকে বৃহস্পতিবার বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক দুদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন৷ সূত্রের খবর, পুলিশের চাপে পড়ে অবশেষে খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। তবে কী করণে খুন তা এখনও পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছে। খুনের একাধিক কারণ উঠে আসছে বলে জানা যাচ্ছে। সেইসব দিকগুলি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, তাঁদের মেয়েকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ছল করেছিল ধৃত শাবনূর। অপহরণ করতে না পেরেই তাকে খুন করে জঙ্গলে ফেলা দেওয়া হয়। দু’বছরের নিষ্পাপ শিশুকে খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। সকলেই শাবনূরের ফাঁসির দাবি করছেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকায় গ্রামের দু’পাশেই ২৪ ঘন্টার জন্য চলছে পুলিশি টহলদারি।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার বিকালে ২ বছরের আরমিনা খাতুন নামে ওই শিশুকে ফুঁসলিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় শাবনূর। সেই শিশুটিকে ধাক্কা মেরে ঢোবার ধারে ফেলে দিয়ে খুন করেছে। এ কথা নিজেই পুলিশি জেরায় সে স্বীকারও করেছে বলে জানা যাচ্ছে। খুনের পরে নিজের বাড়ির সীমানার বাইরে জঙ্গলে লুকিয়ে রাখে। এদিকে যখন শিশুটির খোঁজ চলছে তখন সে নিজেই আবার গ্রামবাসীদের সঙ্গে শিশুটির খোঁজ শুরু করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তার বয়ানে নানা অসঙ্গতি খুঁজে পায় পুলিশ। চেপে ধরতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।
মৃত শিশুর মা সারবানু মণ্ডল বলেন, “আমার মেয়ে কী দোষ করেছিল! শাবনূরের সঙ্গে আমাদের কোনওরকম শত্রুতা ছিল না। তবুও কেন তাকে মারল? আমরা নিশ্চিত আমার মেয়েকে পাচার করার ছক ছিল। নিয়ে যেতে না পারায় আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি ওর ফাঁসি চাই।”